নিজস্ব প্রতিনিধি: হাইকোর্ট শিক্ষাজীবনের বিভিন্ন স্তরে শিক্ষার্থীর তথ্য সংক্রান্ত ফরম (এসআইএফ) সংশোধনের মাধ্যমে ‘বাবা’ বা ‘মা’ অথবা আইনগত অভিভাবকের নাম যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আসছেন ম্যাক্রোঁ
আজ বুধবার (৩০ আগস্ট) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করেন।
এ রায়ের ফলে ৩ জনের যেকোনো একজনের নাম দিয়ে শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ করা যাবে। প্রকাশিত রায়ে সব ফরম সংশোধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সব শিক্ষাবোর্ডকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে গত ২৪ জানুয়ারি শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর তথ্য সংক্রান্ত ফরম সংশোধনের মাধ্যমে ‘বাবা অথবা ‘মা’ বা ‘আইনগত অভিভাবকের নাম যুক্ত করতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়ে এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার (এসএসসি) পর্যায়ে বাবার নাম না দিয়ে মায়ের নাম দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণের সুযোগ নিয়ে ১৪ বছর আগে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেন।
আবেদনকারীদের আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা জানান, এ রায়ের ফলে মায়ের অধিকারও আংশিক প্রতিষ্ঠিত হলো। আবার মা-বাবার পরিচয়হীন যেকোনো শিশুর শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত হলো।
‘বাবার পরিচয় নেই, বন্ধ হলো মেয়ের লেখাপড়া’ শিরোনামে ২০০৭ সালের ২৮ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও নারীপক্ষ ২০০৯ সালে প্রতিবেদনটি যুক্ত করে ঐ রিট করে। হাইকোর্ট প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ঐ বছরের ৩ আগস্ট রুলসহ আদেশ দেন। রুলের উপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায় দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা
আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা, এস এম রেজাউল করিম ও আইনজীবী আয়শা আক্তার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন।
আইনজীবী আয়শা আক্তার জানান, রাজশাহী বোর্ডের অধীন এসএসসির ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণে বাবার নাম দিতে না পারায় এক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন হয়নি। শিক্ষার্থীর অভিভাবক হিসেবে তখন বাবা ও মায়ের নাম লেখা বাধ্যতামূলক ছিল। বৈষম্যমূলক এই বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়। শিক্ষাক্ষেত্রের প্রতিটি স্তরে এখনো অভিভাবক হিসেবে বাবা ও মায়ের নাম লিখতে হয়।
রায়ে হাইকোর্ট বলছে, বাবা-মা অথবা আইনগত অভিভাবকের যেকোনো একজনের নাম উল্লেখ করে রেজিস্ট্রেশনসহ শিক্ষাক্ষেত্রে ফরম পূরণ করা যাবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সব শিক্ষা বোর্ডের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে বাবা-মা অথবা আইনগত অভিভাবক হিসেবে যেকোনো একটি পরিচয় উল্লেখ করে ফরম পূরণ করা যাবে।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে নিরাপত্তা জোরদার
আইনজীবী জানান, রিটটি যখন করা হয়, শিক্ষাক্ষেত্রে তখন অভিভাবকের ঘরে তথ্য হিসেবে বাবার নাম লেখা বাধ্যতামূলক ছিল। পরে মায়ের নাম উল্লেখ করতে হতো। ফরমে শুধু বাবার নাম উল্লেখ করা অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়েছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহৃত সব ফরম পূরণে অভিভাবকের ঘরে বাবা-মা অথবা আইনগত অভিভাবক শব্দ বাধ্যতামূলকভাবে যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সান নিউজ/এএ
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            