সান নিউজ ডেস্ক : ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে নতুন কোনো হুমকি নেই জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ঈদ জামাতে কোনো হুমকি নেই, তবে শোলাকিয়া ঈদগাহে অতীতের দুর্ঘটনার বিষয়টি মাথায় রেখে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : কাশ্মীরে গ্রেনেড হামলায় নিহত ৫
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সারা দেশে কোটি মুসলমান ঈদের নামাজ আদায় করবেন। ঢাকায় অসংখ্য জায়গায় ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অন্যতম বৃহৎ জাতীয় ঈদগাহ মাঠ, যেখানে ঢাকার সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় ঈদগাহ মাঠে রাষ্ট্রপতিসহ রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নামাজ পড়তে আসবেন। প্রায় ৩৫ হাজার লোক একসঙ্গে এখানে নামাজ পড়বেন। এছাড়া বায়তুল মোকাররমসহ ঢাকার অনেক জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন : বিশ্বজুড়ে আরও ৩১২ প্রাণহানি
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, প্রত্যেকটা ঈদের জামাতে আমাদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। মুসল্লিরা কোনো শঙ্কা ছাড়া ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন, এটা তাদেরকে নিশ্চিত করছি। সিটিটিসির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে পুরো মাঠ সুইপিং করা হয়েছে, যা ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। পুরো এলাকায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা পাহাড়ায় থাকবে, যাতে ঈদগাহ মাঠে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে। ঈদের দিন সিটিটিসির সোয়াত টিম আশেপাশে থাকবে, যাতে যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা সঙ্গে সঙ্গে রেসপন্স করতে পারে।
তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহ মাঠে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। পুরো মাঠ সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। জাতীয় ঈদগাহে আসা প্রত্যেককে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এজন্য যাতে সবাই একটু সময় নিয়ে মাঠে আসেন। মাঠে জায়নামাজ ছাড়া অন্যকোনো কিছু সঙ্গে আনবেন না। কোনো দাহ্য পদার্থ আনা যাবে না।
আরও পড়ুন : শেষ দিনে ঈদযাত্রায় উপচেপড়া ভিড়
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ঈদে সুনির্দিষ্ট কোনো থ্রেট নেই। তারপরেও এটা যেহেতু ঢাকার সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত, এজন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আয়োজন রয়েছে। শোলকিয়ার ঈদগাহ মাঠে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল, অতীতের সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে।
সান নিউজ/এমআর