নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেছেন, রাজধানীর গুলিস্তান বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড কাউন্টারের পাশে একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় শতাধিক আহত মানুষ ঢামেকে এসেছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর তান্ডবে নিহত ১৭
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢামেক হাসপাতালে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। তিনি জানান, যেসব মরদেহ এসেছে সেগুলো রক্তাক্ত, প্রচুর ক্ষতবিক্ষত হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বলেন, একশর বেশি আহত মানুষ আসছে। আমরা ওইভাবে ভর্তি করতে পারিনি। এখন শুধু চিকিৎসা দিচ্ছি। টোটাল কাউন্ট করতে আমাদের একটু সময় লাগবে।
তিনি বলেন, এমনিতেই ক্রাউডেড। এরমধ্যে ১০০ জন চলে আসছে। ১০০ জনের জায়গা করাও তো সময়ের ব্যাপার। যাইহোক আমরা করছি। আমাদের এখানে যে সুযোগ-সুবিধা আছে, সব আমরা কাজে লাগাচ্ছি। আমাদের ডাক্তাররা সবাই আছেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদারের আহ্বান
তিনি বলেন, যেসব মরদেহ আসছে আমি দেখেছি এরা সবাই মাল্টিপল ফ্রাকচার, হেড ইনজুরি, রক্তাক্ত, প্রচুর ইনজুরি হয়েছে তাদের। এটা বুঝা যাচ্ছে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সে ভিত্তিতেই চিকিৎসা চলছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৫ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এসেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগ সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আহত মানুষদের নিয়ে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স ভেতরে প্রবেশ করছে। জরুরি বিভাগের সামনে থেকে শুরু করে বাইরের সড়ক পর্যন্ত আহত এবং নিহতদের স্বজনদের আহাজারি চলছে।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় স্বামী-সতিনের মৃত্যুদণ্ড
ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তার ও নার্স থেকে শুরু করে হাসপাতালের কর্মীরা হতাহতদের সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর হতাহতদের দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনা আহতদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
সান নিউজ/এনকে