সান নিউজ ডেস্ক : ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মিত্রবাহিনীর ভারতীয় ৩০ জন সদস্যকে সংবর্ধনা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন : গুম-খুন চালু করেছিল জিয়াউর রহমান
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর এই বীর সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্তসহ ভারতীয় হাইকমিশন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন : ঊর্ধ্বতনদের দুর্নীতি সবার আগে তদন্তের নির্দেশ
মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল অনিল কুমার লাম্বার নেতৃত্বে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা পরিবারসহ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসেছেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিদেশি বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, `মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।`
ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির অবদানের কথা স্মরণ করে মোজাম্মেল হক বলেন, প্রায় এককোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়ে, খাবার দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে ভারত সহায়তা না করলে এত অল্প সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারতো না।
আরও পড়ুন : ২০৪১ সালে হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার কয়েক মাস পরই ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বন্ধুত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভারত।
ভারতীয় মিত্রবাহিনীর পরিবারের সদস্যদের জন্য বাংলাদেশ সরকার শিক্ষাবৃত্তি চালু করছে বলে মন্ত্রী এ সময় জানান। বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের সুসম্পর্ক আগামীতে আরও দৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। সূত্র : বাসস।
সান নিউজ/এইচএন