পুঞ্জীভূত ক্ষোভ ও বিরোধ থেকে লিটন খুন
জাতীয়

ক্ষোভ ও বিরোধ থেকে লিটন খুন

সান নিউজ ডেস্ক : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন পুঞ্জীভূত ক্ষোভ, রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার এবং আব্দুল কাদের খানের পুনরায় এমপি নির্বাচিত হওয়ার স্বপ্নের কারণেই খুন হন। চন্দন কুমার রায় এর মূল সমন্বয়ে ছিলেন।

আরও পড়ুন : এইচএসসি পরীক্ষা শুরু

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেছেন।

তিনি বলেন, রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে সাতক্ষীরার ভোমরা এলাকা থেকে হত্যা মামলার প্রধান সমন্বয়কারী ও ইন্টারপোল কর্তৃক রেড নোটিশ জারিকৃত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি চন্দনকে গ্রেফতার করা হয়।

সুন্দরগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল কাদের খানের পরিকল্পনাতে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। আবদুল কাদের খান ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুন্দরগঞ্জ এলাকায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। ওই সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার দুর্নীতির বিষয়ে মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন অভিযোগ উত্থাপন করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ আসন থেকে লিটন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আরও পড়ুন : ফের বাড়ল তেলের দাম

পূর্বের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ, রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার ও তৎকালীন সংসদ সদস্যকে সরিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য হওয়ার লোভে মূলত হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন আবদুল কাদের খান।

২০১৬ সালে প্রথম দিকে এমপি লিটনকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে চন্দন কুমার রায়কে জানান কাদের খান। চন্দন ও কাদের খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মাধ্যমে ২০১৬ সালে ৩১ ডিসেম্বর এমপি লিটনকে তার নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়।

র‌্যাব জানায়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ছোট বোন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত কার্যক্রম শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল মূল পরিকল্পনাকারী আবদুল কাদের খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। যার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের প্রধান সমন্বয়কারী চন্দন কুমার রায় ছাড়া বাকি ৭ জন গ্রেফতার হয়।

আরও পড়ুন : তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে

পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর গ্রেফতারকৃত ৬ এবং পলাতক চন্দনসহ ৭ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত।

আরেক আসামি সুবল চন্দ্র কারাগারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। পলাতক চন্দন কুমার রায়কে গ্রেফতারে ইন্টারপোল কর্তৃক রেড নোটিশও জারি করা হয়।

আরও পড়ুন : সীমান্তে উসকানি হলে ব্যবস্থা

জানা যায়, এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের পর চন্দন পার্শ্ববর্তী দেশে আত্মগোপন করায় ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। সেখানে নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে শাওন রায় নামে ভূয়া নাগরিকত্ব, আধার কার্ড করে সেখানে অবস্থান করছিলেন।

সম্প্রতি মাদক পাচার সংক্রান্ত কাজে তিনি সাতক্ষীরায় সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করছিলেন। পরবর্তীতে সাতক্ষীরা জেলার সীমান্তবর্তী ভোমরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

সান নিউজ/এইচএন

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত 

ভোলা প্রতিনিধি: তীব্র তাপদাহ থেকে...

আড়িয়ল ইউপিতে উপ-নির্বাচন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

খাগড়াছড়িতে গৃহকর্মীকে জিম্মির অভিযোগ 

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ

কার্বণ মিল ও সীসা কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী প্রতিনিধি:

অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাস চাপায় চুয়েট...

রাজধানীতে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর শাঁখা...

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাড়ছে না ছুটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : আবহাওয়া অধিদপ্...

আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি মাসে তিন...

রংপুরে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়

রংপুর প্রতিনিধি : সারাদেশের মতো র...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা