জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, চলমান কঠোর বিধিনিষেধ সময়ের প্রয়োজনে নতুন রূপে আসবে। এ বিষয়ে রোববার (৬ জুন) ঘোষণা আসতে পারে।
শনিবার (৫ জুন) রাতে সংবাদমাধ্যমকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকারকে নতুনভাবে ভাবতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন এর মধ্যেই আমাদের থাকতে হবে বলে মনে হচ্ছে। তাই বিধিনিষেধের নতুন ধরনের দিকে যেতে হবে।
জানা গেছে, যেখানে সংক্রমণ পরিস্থিতি খারাপ হবে সেখানেই বিধিনিষেধ কঠোরসহ লকডাউন দিতে পারবে স্থানীয় প্রশাসন। এটাই হলো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের নতুন রূপ।
ফরহাদ হোসেন বলেন, সংক্রমিত জায়গায় সেটা হোক তৃণমূলে, সেটি একটি নির্দিষ্ট গ্রাম, হতে পারে একটি শহর, হতে পারে একটি থানা শহর, যেখানে সংক্রমণ বেশি দেখা যাবে সেখানে আমরা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করবো। সেই জায়গাগুলোতে শ্রমজীবী মানুষের যেন খাওয়া-পরা সমস্যা না হয় সেজন্য তাদের প্রয়োজনীয় অর্থ সহযোগিতা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সব জেলাতেই অর্থ পৌঁছে গেছে। সংক্রমণ ঠেকাতে গ্রামের চা দোকান বন্ধ হতে পারে। সেই দোকানিকে ঘরে রাখতে অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এছাড়া আগে যে বিধিনিষেধগুলো ছিল সেগুলো আগের মতোই থাকবে। রেস্তোরাঁয় মানুষ খেতে বসতে পারবে কিন্তু ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক মানুষ প্রবেশের অনুমতি পাবে। গণপরিবহন আন্তঃজেলা পরিবহনগুলো যেন কঠোরভাবে বিধিনিষেধ মেনে চলে সেজন্য তদারকি বাড়ানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ রোববার রাতে শেষ হচ্ছে। এরপর তা আর বাড়বে কিনা, সে ব্যাপারে শনিবার (৫ জুন) পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কোনো সারসংক্ষেপও পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনার সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত যা-ই হোক, রোববার তা জানা যাবে।