নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হামলা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের হামলায় প্রগতিশীল ছাত্রজোটের প্রায় ২০জন নেতকর্মী আহত হয়। এই হামলার ঘটনায় সাংবাদিক সহ এক জোটের এক নারী কর্মীকেও রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে; একই দিন সকালে ছাত্র ফেডারেশনের আয়োজিত মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করার কর্মসূচি থেকে ছাত্রলীগ নেতারা কুশপুত্তলিকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এতে ক্যাম্পাস জুড়ে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিকেলে টিএসসিতে বিক্ষোভ ও মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করার কর্মসূচি শুরু করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। ৫ টায় প্রগতিশীল ছাত্র জোট টিএসসি থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রোকেয়া হল-রাজু ভাস্কর্য-শাহবাগ হয়ে পুনরায় রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন ডাসের সামনে নরেন্দ্র কুশপুত্তলিকা দাহ প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এসময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী এসে কুশপুত্তলিকা কেড়ে নেয়।
এতে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা কুশপুত্তলিকা নিয়ে চলে গেলে প্রগতিশীল কর্মীরা মোদী বিরোধী ব্যানার পোস্টার পোড়ায়। এর একটু পরেই ডাসের পেছনে অবস্থান নেওয়া একদল ছাত্রলীগ নেতাকর্মী হামলা শুরু করে। জোটের নেতাকর্মীরা পাল্টা প্রতিরোধ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়।
হামলার এক পর্যায়ে প্রগতিশীল ছাত্র জোট পিছু হটলে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের দাওয়া করে মিশুক মুনীর চত্বরের সামনে এনে পুনরায় মারধর করে। জোটের নেতাকর্মীদের ছাত্রলীগ হেলমেট, ইট, ডাব দিয়ে মারধর করে।
ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রজোটের নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও পথচারীসহ ২০জন মারাত্মক আহত হয়েছে। তবে জোটের দাবি তাদের অর্ধশতাধিকের বেশি নেতাকর্মী মার খেয়েছে। ছাত্রজোটের এক নারী কর্মীর মাথা ফেটে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এতে আহত হয়েছে দেশ রূপান্তরের ফটো সাংবাদিক রুবেল রশিদ, মানবজমীনের জীবন আহমদ।
পরে আহত নেতাকর্মীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের বহিষ্কৃত যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মেঘমল্লার বসু, ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার।
ছাত্রফ্রন্ট ঢাবি শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, আমাদের মিছিলে ছাত্রলীগ হঠাৎ করে হামলা চালায়, আমরা কিছুই বুঝে উঠতে পারেনি। এতে আমাদের ২০-২২ জন আহত হয়েছে, এখন ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি আছেন প্রায় ১৫ জন।
ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার এবং ঢাবি শাখার সাধারন সম্পাদক প্রগতি বর্মন তমা এবং মেঘমল্লার বসু গুরুতর আহত হয়েছে। পরবর্তী কর্মসূচি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সন্ধ্যায় আমরা একটা মিছিল করতে পারি এবং ২৫ তারিখে হামলা এবং মোদি বিরোধী মিছিল করব।
সান নিউজ/এসএ