নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এর এক ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি মর্তুজা রায়হান চৌধুরী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার ওই আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এ ছাড়া একই মামলায় গ্রেফতার নিহত ওই ছাত্রীর বান্ধবী ফারজানা জামান নেহার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এ মামলায় গ্রেফতার অপর আসামি নুহাত আলম তাফসীরকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার সাফায়েত জামিল নামের এক শিক্ষার্থী আদালতে আত্মসমর্পণ করে বলেন, তিনিই মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি। তিনি মামলার আসামি হতে চান। তাঁকে এই মামলায় যেন গ্রেপ্তার দেখানো হয়। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে মর্তুজা রায়হান ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে মিরপুর থেকে স্কুটার করে লালমাটিয়ায় আরাফাতের বাসায় নিয়ে যান। পরে আরাফাত, ওই শিক্ষার্থী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের 'বাম্বুসুট রেস্টেুরেন্টে' যান। সেখানে আসামি নেহা, শাফায়েত জামিলসহ (২২) আসামিরা মদ পান করেন এবং ভিকটিমকে মদ পান করান।
একপর্যায়ে ভিকটিম অসুস্থবোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে রায়হান ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর রাতে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেয়। অসিম পরদিন এসে ভিকটিমকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ভিকটিম মারা যান।
সান নিউজ/এসএস