নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের শীর্ষ আলেমদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, “দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি এবং অদৃশ্য শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ দেশের জননন্দিত আলেম-উলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ও শীর্ষ মুরব্বিদের ব্যাপারে বেয়াদবিমূলক বক্তব্য ও আচরণ করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি।”
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) হেফাজতে ইসলামের সহকারী মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী চিহ্নিত ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায় সংগঠনটি, অন্যথায় হেফাজতে ইসলাম ও আলেম সমাজ প্রতিবাদী আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তারা।
বিবৃতিতে দেশের শীর্ষ উলামা-মাশায়েখরা বলেছেন, “আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.)-এর মৃত্যুর পরও তাকে পুঁজি করে একটি কুচক্রি মহল বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও আলেম সমাজকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। যারা ২০১৩ থেকে ২০২০ সালে হযরতের ইন্তেকাল পর্যন্ত কখনো ক্ষমতাসীনদের বিপক্ষে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র আর অপরিণামদর্শী বক্তব্যের মাধ্যমে, কখনো চাটুকরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে কিংবা দেশবিরোধী চক্রের চর হয়ে স্বার্থ হাসিলের মতলবে আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.)-এর আকাশচুম্বি গ্রহণযোগ্যতাকে জাতির সামনে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।”
তারা আরও বলেন, “আল্লামা শফী স্বাভাবিকভাবে ইন্তেকাল করেছেন যা তার বড় ছেলে পরিবারের পক্ষ থেকে দেশি-বিদেশি মিডিয়ার সামনে পরিষ্কারভাবে জাতিকে জানিয়েছেন। হাটহাজারী মাদ্রাসার সকল শিক্ষক এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন। মৃত্যুর পর দুটি দেশসেরা হাসপাতালের রিপোর্ট ও ডেথ সার্টিফিকেটের মাধ্যমে দেশবাসীর সামনেও বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, এরপরও স্বার্থান্বেষী মহলটি হযরতের স্বাভাবিক মৃত্যুকে নিয়ে ঘোলা পনিতে মাছ শিকার করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। শুধু তাই নয়, সারা দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের যে জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে তার ব্যাপারেও তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে যা সচেতন মহল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।”
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, আল্লামা মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামী, আল্লামা শায়েখ আহমদ (হাটহাজারী), আল্লামা নূরুল ইসলাম, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, আল্লামা শায়েখ জিয়া উদ্দিন, আল্লামা আব্দুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর), মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা সালাহ উদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা নোমান ফয়জী (মেখল), মাওলানা নূরুল ইসলাম আদীব, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবদুল আউয়াল, মাওলানা এডভোকেট আবদুর রাকীব, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী, মাওলানা আবদুর রহমান হাফেজ্জী, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা ইসমাঈল নূরপুরী, মাওলানা ফয়জুল্লাহ সন্দ্বীপী প্রমুখ।
সান নিউজ/এম/এস