নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন ইংরেজি নববর্ষকে ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, “থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাজধানীর কোথাও কোন পার্টি করা যাবে না। হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোনো স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেয়া যাবে না।”
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ‘বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট-২০২০ উদযাপন’ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে উন্মুক্তস্থানে লোকসমাগম ও কোনো পার্টি করতে দেয়া হবে না। হোটেলগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে অনুষ্ঠান করতে পারবে। তবে কোনোক্রমেই ডিজে পার্টি করতে দেয়া হবে না। হোটেলগুলোতে অনুষ্ঠানের কারণে রাস্তায় যেন অতিরিক্ত যানজট না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থার্টি ফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠান করা যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “থার্টি ফার্স্টে সন্ধ্যা থেকে বারগুলো বন্ধ থাকবে। সামাজিক দূরত্ব ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। তবে যথারীতি রাত ৮টার পর সকল ফার্স্টফুড দোকানসহ মার্কেট বন্ধ থাকবে।”
মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, “করোনার কারণে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠান সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে। প্রচুর লোক কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ায় লন্ডনে গ্রেড-৪ লকডাউন চলছে। তাই বাংলাদেশেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল প্রকার অনুষ্ঠান সীমিত আকারে পালিত হচ্ছে। বড়দিন উপলক্ষে চার্চে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকা ও প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত নজরদারি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। চার্চগুলোতে এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন সময়ে একাধিক প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে ভালো হবে।”
সমন্বয় সভায় গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে- প্রতিটি চার্চে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে ঢুকতে দেয়া হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগস্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। থাকবে চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেয়া হবে না। কোনো প্রকার ব্যাগ, পোটলা, বাক্স, কার্টন ইত্যাদি নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।
সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/এস