নিজস্ব প্রতিবেদক : সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম এবং তার দেহরক্ষী জাহিদকে সাত দিন করে রিমান্ডে চায় পুলিশ। রাজধানীর কলাবাগানে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় এই দুই আসামিকে গ্রেফতার দেখানোসহ এই রিমান্ডের আবেদন করে আইন শৃঙ্খলা বাহীনির এই সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আশফাক রাজীব হায়দার এই আবেদন করেন।
বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনের ওপর শুনানি হবে। ধানমণ্ডি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. আশ্রাব আলী এ তথ্য জানান।
মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত ২৬ অক্টোবর ভোরে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খান বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম (৩৭), তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদ (৩৫), হাজী সেলিমের মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু (৪৫), গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ (৩০) এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের দুই-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
গাড়িচালক মিজানকে রোববার রাতে গ্রেফতারের পর সোমবার একদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান। মঙ্গলবার এজাহারভুক্ত অপর আসামি দিপুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইরফানের গাড়ি লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমের মোটরসাইলে ধাক্কা মারার পর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামান এবং গাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ান। নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনই মেরে ফেলব’। এরপর বের হয়ে ওয়াসিমকে কিল-ঘুষি মারেন এবং তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
সান নিউজ/এস