অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে পদত্যাগে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ছেড়েছেন জুলাই শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা। এর আগে আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ের ২ নম্বর ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তারা।
এরপর বেলা সোয়া ৩টার দিকে তারা সড়ক ছাড়েন। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে আইন উপদেষ্টা পদত্যাগ না করলে সকল শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় এসে সচিবালয় ঘেরাও করবেন বলেও জানান তারা।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে জুলাই শহীদ পরিবার ও আহতরা প্রথমে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে একটি মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের ২ নম্বর ফটকের সামনে অবস্থান নেন। শহীদ পরিবারের সদস্য এবং আহতদের অবস্থানের কারণে সচিবালয়ের সামনের সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জুলাই হত্যা মামলার আসামি পুলিশ কর্মকর্তার জামিন দেওয়ায় সচিবালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে আইন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা।
এ সময় সেখানে অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিদের নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়। এসব স্লোগানের মধ্যে রয়েছে—‘পদত্যাগ পদত্যাগ, পদত্যাগ চাই, আসিফ নজরুলের পদত্যাগ চাই’, ‘দফা এক দাবি এক, আসিফ নজরুলের পদত্যাগ’, ‘খুনিরা বাইরে ঘোরে, বিচার বিভাগ কী করে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’।
জুলাই শহীদ আলিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা বুলবুল করিম বলেন, এক বছর পরেও আমরা আমার সন্তান হত্যার বিচার পাইনি। সরকার বিচারের নামে তামাশা করছে। আমরা দেখছি, আসামিরা অর্থের বিনিময়ে জামিন নিচ্ছে। অথচ আইন উপদেষ্টা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না।
শহীদ তায়িমের ভাই রবিউল আউয়াল বলেন, আমরা এই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি।
শহীদ শেখ শাহরিয়ারের বাবা আবদুল মতিন জানান, আজকে একটি বছর তারা বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। বিচারের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের আশ্রয় নিলেও তারা তাদের সঙ্গে প্রহসন করছে।
পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের দাবি- তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেবেন। কিন্তু অবরোধের কারণে পথচারীদের ভোগান্তি বাড়ছে।
পুলিশ আন্দোলনকারীদের আঘাত করেছে—এ অভিযোগের বিষয়ে মাসুদ আলম বলেন, এমনটি হলে আমরা যথাযথ তদন্তের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেব।
সাননিউজ/এসএ