কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে আলোচিত ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৯ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদেশে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ১৪ জুলাই এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। সেদিন প্রতিবেদন জানাতে হবে পুলিশকে।
এর আগে এ ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীকে (৩৮) গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ রবিবার ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) নাজির আহমেদ খান জানান, ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয় এবং অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী নিজে বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় ফজর আলীকে প্রধান আসামি করা হয়। এরপর পুলিশের একটি টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে চিকিৎসা শেষে আদালতে হাজির করা হবে বলেও তিনি জানান।
সাননিউজ/ইউকে