১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা তাজউদ্দীন আহমদের মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি বাতিল হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। বুধবার (৪ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ প্রশ্ন তোলেন তিনি। এতে শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অবদান নিয়েও কথা বলেন এই এনসিপি নেতা।
আগেরদিন মঙ্গলবার রাতে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের (এমএনএ-এমপিএ) মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয় বলে গণমাধ্যমে খবর আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ থেকে প্রকাশ করা এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশে এসব নেতার পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুকে সারজিস আলম লিখেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে বন্দী হয়ে বিজয়ের পর পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি সরাসরি মাঠে ছিলেন না।’
তিনি লিখেছেন, ‘তাজউদ্দিন আহমদ মাঠে থেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয় কীভাবে? ’
সারজিস লিখেছেন, ‘মন্ত্রণালয়ের কাজ ছিল- মুক্তিযোদ্ধার নামে সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য আওয়ামী আমলে যারা নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছেন এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা। কিন্তু তা না করে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মাঠে থেকে যারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় সরাসরি অবদান রেখেছেন তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাতিল করার মত অপ্রয়োজনীয় কাজ কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
এনসিপির এই নেতা লিখেছেন, ‘ইতিহাস যেন কখনো ক্ষমতাসীনদের পক্ষের না হয়। ইতিহাসকে ইতিহাসের মতো করেই চলতে দেওয়া উচিত।’
সাননিউজ/ইউকে