নিজস্ব প্রতিবেদক: অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান মন্তব্য করে বলেছে, দেশে দণ্ডপ্রাপ্ত হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আ’লীগের নেতারা আগামী জাতীয় নির্বাচনের অংশ নিতে পারবেন না। তবে সকল মামলার নিষ্পত্তি হওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনো আইনি বাধা নেই।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এক ছায়া সংসদে তিনি এ সকল কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সাবেক সেনা আযমীর বরখাস্ত বাতিল
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আ’লীগের আমলে নানা অনিয়মের কারণে গণপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী দলটির নির্বাচনী অপরাধীদের বিচার করা হবে। এ সময় কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে জুলাই বিপ্লব ব্যর্থ হতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা যতো শক্তিশালীই হোক না এই বিপ্লব মুছে ফেলা যাবে না।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শেখ হাসিনার নির্মম পরিণামের পর এ সময় তার পাশে দলের কেউ দাঁড়াতে সাহস পাচ্ছে না। যারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিলো, দেশের সংবিধান কেটে-ছিঁড়ে মানুষের অধিকার ভূলুণ্ঠিত করেছিলো, তারা ইতিহাসের খলনায়ক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
এদিকে, ছায়া সংসদে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
আরও পড়ুন: শীতের ছোঁয়ায় স্বস্তি সবজির বাজার
তার বলেন, ফ্যাসিস্ট আ’লীগ সরকারকে চিরদিন ক্ষমতায় রাখার অসৎ উদ্দেশ্যে দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন। এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার রায় জালিয়াতির দায়ে খায়রুল হকের গ্রেফতার ও বিচার সময়ের দাবি।
তিনি আরও বলেন, এই দেশের জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলো আ’লীগ সরকার। ডামি, একতরফা ও মধ্যরাতের নির্বাচনের মাধ্যমে আ’লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে। গত ৩টি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, পুলিশ, রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনের সাথে যুক্ত প্রায় সবাই জাল-জালিয়াতির অপরাধে অপরাধী। যারা এ সকলব নির্বাচনী অপরাধ করেছে, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সান নিউজ/এমএইচ