বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে রাজনীতিতে নতুন করে প্রশ্নবোধক চিহ্ন তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয় আইন-আদালত বা সরকারি সিদ্ধান্ত নয়, এই সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ।
বুধবার (১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আজহার-শফিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগ ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত কথা বলে, কিন্তু তাদের ২৪-এর গণহত্যা নিয়ে কোনও অনুশোচনা নেই।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের বিচারের জন্য বিএনপি সোচ্চার। গণহত্যায় যারা আদেশ দিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী হোক আর অতি উৎসাহী যেই হোক– বিএনপি বারবার বলেছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ। আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে, আমরা চাই সেটা হোক। জনগণ দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেনি, নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের সেই সুযোগটা আসুক।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি, তাদের নিবন্ধনও স্থগিত করা হয়নি। শুধুমাত্র দলের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের ফাঁকে জিটিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক মেহদি হাসানের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কার্যক্রম স্থগিত থাকায় আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবে না। তারা দল হিসেবে বৈধ রয়েছে, তবে কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তাদের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা যেকোনো সময় তুলে নেওয়া হতে পারে।
সাননিউজ/আরআরপি