আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তানের নির্বাচনের ফলাফলকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশন জমা দিয়েছে পিটিআই।
আরও পড়ুন: স্পেনে ভবনে আগুন, নিহত ৪
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ইর) দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে পিটিআই এ সংক্রান্ত একটি পিটিশন জমা দিয়েছে।
পিটিশনে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে মোট ১৮০টি আসনে জয়ী হয়েছে পিটিআই কিন্তু কারচুপি ও কারসাজির মাধ্যমে মাত্র ৯২টি আসনে পিটিআই প্রার্থীদের জয়ী দেখানো হয়েছে। দলটিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে এই ‘ডাকাতি’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে পিটিশনে।
পিটিআইয়ের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা শের আফজাল মারওয়াত জানিয়েছেন, পিটিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার নিয়োগকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ভূমিধস, নিহত ২৫
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয়েছে পাকিস্তানে। ১১ ফেব্রুয়ারি সেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মোট আসনসংখ্যা ২৬৬টি, তার মধ্যে নির্বাচন হয়েছে ২৬৫টি আসনে। কোনো দল যদি সরকার গঠন করতে চায়, তাহলে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অন্তত ১৩৩টি আসনে সেই দল বা জোটকে জয়ী হতে হবে।
আরও পড়ুন: রাশিয়াকে ৫০০ নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেছে , সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)— ৯২টি আসন। পিটিআইয়ের পর এই তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)— ৭৫টি আসন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)— ৫৪টি আসন, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম)— ১৭টি আসন, জামায়াতে উলামায়ে ইসলাম- ফজলুর (জেইউআইএফ)—৪টি আসন এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা পেয়েছেন ৯টি আসন।
এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে কার্যত সরকার গঠনের সম্ভাবনা পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে পিটিআইয়ের। সূত্র : প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া
সান নিউজ/এএন