আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় একটি বহুতল ভবনের আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন।
আরও পড়ুন : গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৪০
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া শহরের একটি উঁচু আবাসিক ব্লকে বিশাল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন বলে জরুরি পরিষেবাগুলো জানিয়েছে। ভয়াবহ এই আগুন শহরের ক্যাম্পনার এলাকার একটি ১৪ তলা অ্যাপার্টমেন্ট ব্লককে গ্রাস করে এবং একপর্যায়ে পাশের একটি ভবনেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন : গাজা এখন ‘ডেথ জোন’
বিবিসি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের ওই অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের বারান্দা থেকে লোকদের উদ্ধার করতে দেখা গেছে এবং স্থানীয় মিডিয়া বলছে, অন্যরা হয়তো এখনও ভেতরে আটকে থাকতে পারে।
ছয় দমকলকর্মী এবং এক শিশুসহ অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। আগুন এখনও জ্বলছে এবং সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ২০টিরও বেশি ফায়ার ক্রু আগুন নেভাতে কাজ করছে এবং লোকজনকে ওই এলাকা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : মেক্সিকোতে সংঘর্ষ, নিহত ১২
অগ্নিকাণ্ডের শিকার এই বিল্ডিংটিতে ১৩৮টি ফ্ল্যাট রয়েছে এবং এতে ৪৫০ জন বাসিন্দা ছিলেন বলে বিল্ডিংটির ম্যানেজারের বরাত দিয়ে সংবাদপত্র এল পাইস জানিয়েছে। স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দমকলকর্মীরা ক্রেন ব্যবহার করে বেশ কয়েকজন বাসিন্দাকে উদ্ধার করেছে, যাদের মধ্যে সপ্তম তলায় থাকা এক দম্পতিও রয়েছে।
ভবনের দ্বিতীয় তলায় বসবাসকারী এক ব্যক্তি টিভি চ্যানেল লা সেক্সতাকে জানান, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের পর আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তিনি বলেন, আগুনটি ১০ মিনিটের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। বিল্ডিংয়ের সামনের অংশে থাকা উপাদানের কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন : ভেনেজুয়েলায় খনি ধসে ২৩ জনের মৃত্যু
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ওই এলাকায় একটি মাঠ হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে হয়েছে বলে আরটিভিই রিপোর্ট করেছে। আর আগুনের কারণে বাড়ি থেকে বাস্তুচ্যুত লোকদের হোটেলে রাখা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বলেছেন, ‘ভ্যালেন্সিয়ার একটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাশ... আমি ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত লোকের প্রতি আমার সংহতি জানাচ্ছি।’
সান নিউজ/এমআর