আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী স্কুলে বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ৪ শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১০ জনেরও বেশি মানুষ।
আরও পড়ুন: বাস চাপায়, নিহত ৪
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার কারেনি (কায়া) প্রদেশের ডেমোসো টাউনশিপের একটি স্কুলে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে বোমা হামলা চালায়। এ হামলায় অন্তত ৪ শিশু নিহত ও ১০ জনের বেশি আহত হয়েছে।
ডেমোসো শহরের একজন স্বেচ্ছাসেবক ইরাবতীকে বলেছেন, সোমবার (৫ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে সেখানকার ডাউসিই গ্রামের স্কুলে দুটি যুদ্ধবিমান থেকে বোমাবর্ষণ ও মেশিনগান থেকে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংরক্ষিত নারী আসনের তফসিল কাল
স্বেচ্ছাসেবক জানান, ঐ এলাকায় জান্তা বাহিনী ও প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে কোনও সংঘর্ষ না হওয়া সত্ত্বেও এ হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, বোমা হামলায় বিদ্যালয়ের ৯০% ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে, ও হামলায় আহত অনেক শিশুর অবস্থা গুরুতর।
ইরাবতী জানিয়েছে, যুদ্ধের কারণে অন্য এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত লোকরা এ ডাউসিই গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিল ও গ্রামের এ স্কুলে স্থানীয় ও বাস্তুচ্যুত উভয় শিশুরাই পড়াশোনা করত। এছাড়াও জান্তা বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো পার্শ্ববর্তী আরেকটি গ্রামেও বোমাবর্ষণ করেছে। তবে সে হামলায় হতাহতের পরিসংখ্যান এখনও জানা সম্ভব হয় নি।
আরও পড়ুন: শিশুকন্যা হত্যার কথা স্বীকার করলেন বাবা
কারেনি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কো হপোন নাইং ইরাবতীকে জানিয়েছেন, ‘যুদ্ধবিমানগুলো সারা সকালজুড়ে গ্রামের ওপর দিয়ে উড্ডয়ন করেছে ও একপর্যায়ে স্কুলে বোমাবর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই ৩ জন শিশু নিহত হয় ও আরও অনেকে আহত হয়েছে হতাহতের সঠিক পরিসংখ্যান দেওয়া কঠিন।’
অন্যদিকে অ্যাডভোকেসি গ্রুপ প্রগ্রেসিভ কারেনি পিপল অনুসারে, এ বছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় ৪৬টি ধর্মীয় ভবন, ২২টি স্কুল, ১৪টি হাসপাতাল ও ২ হাজার ২৮১টি বাড়ি এখস পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে গেছে।
সান নিউজ/এএ