আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থপাচার নিয়ে দেশের গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ও এ বিষয়ে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রসঙ্গটি উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাতিয়ার হিসেবে নিষেধাজ্ঞা ব্যবহৃত হতে পারে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর গেলেন সেতুমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ঐ ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ’লীগ ভোটাধিকার সুরক্ষিত করেছে
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সামনে বিক্ষোভের বিষয়টিও এ ব্রিফিংয়ে আলোচিত হয়।
ঐ ব্রিফিংয়ে বলা হয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাতিয়ার হিসেবে নিষেধাজ্ঞা ব্যবহৃত হতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে চলমান মার্কিন নীতিও অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কাঁপল ফিলিপাইন
সংবাদ সম্মেলনে মিলারের কাছে বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচার এবং এ ধরনের দুর্নীতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তা করছে কিনা- তা জানতে চান এক সাংবাদিক।
ঐ সাংবাদিক বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিষয়ক সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ সম্প্রতি বাংলাদেশে সফর করেছেন। সফরে তিনি বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাথে দেখা করেছেন।
আরও পড়ুন: ইমরানকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা
তার এ সফরের সময় বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বিপুল অংকের অর্থ বিদেশে পাচার করা নিয়ে চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
অভিযুক্ত এক ব্যক্তি বিপুল অর্থ পাচার করে বিদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। ব্যাপক দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের বিষয়ে স্টেটওয়াচ.নেট এবং ওসিসিআরপি একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সাথে রিচার্ড নেফিউয়ের বৈঠকের সময় তিনি ইঙ্গিত দেন, নিষেধাজ্ঞাকে তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসাবে বিবেচনা করতে পারে।
আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকায় সহিংসতায় নিহত ৫
আমার প্রশ্ন হলো- যুক্তরাষ্ট্র সরকার কি নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায়, বিশেষ করে যারা দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে?
এর জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, এর আগে আমি ভিন্ন একটি দেশের সম্পর্কে একটি ভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলাম, নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে আমরা কখনোই সেটি নিয়ে কথা বলি না। কিন্তু সাধারণভাবে বলতে গেলে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি হাতিয়ার হতে পারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৩
আমাদের কাছে অন্যান্য পদক্ষেপও রয়েছে। যেমন- সম্পদ আটকে দেওয়া এবং অংশীদার দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া, যাতে তারা মামলা করতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশকে তার সীমানার মধ্যে থাকা দুর্নীতিবাজদের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্মূল করতে উৎসাহিত করছি আমরা।
পৃথক এক প্রশ্নে এক সাংবাদিক জানতে চান- বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে বিক্ষোভ হচ্ছে। সেখানে তারা যা করছে, সে বিষয়ে আপনার কোনও মন্তব্য আছে? এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন সত্যিই খারাপ। তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি করছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
আরও পড়ুন: নেপালে বন্যা-ভূমিধসে নিহত ৩৮
উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, আমরা অনেকবার এ বিষয়টি স্পষ্ট করেছি। এ মঞ্চ থেকে আমি অনেকবার এ বিষয়ে স্পষ্ট কথা বলেছি। আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। আমরা তা প্রকাশ্যেই স্পষ্ট করে বলেছি।
আমরা বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনার সময়ও এটি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছি এবং বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে আমাদের চলমান নীতি অব্যাহত থাকবে।
সান নিউজ/এনজে