আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিয়ের আনন্দ উদযাপনে শূন্যে গুলি চালিয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে এক নববধূকে। মূলত গুলি চালানোর এই ভিডিও ভাইরালও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন : প্রথম আলো গণতন্ত্রের শত্রু
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তর প্রদেশে এই ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে পুলিশ এমন এক নারীর খোঁজে রয়েছে যিনি তার বিয়েতে বন্দুক থেকে গুলি চালিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই নারী তার স্বামীর পাশে বসে চার রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেন।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনার পর নিখোঁজ ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
অবশ্য উত্তর ভারতের কিছু রাজ্যে বিবাহের সময় আনন্দ উদযাপনের জন্য বন্দুক থেকে গুলিবর্ষণ খুবই সাধারণ বিষয় এবং এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই অনেককে আহত এবং এমনকি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু পর্যন্ত ঘটায়।
আরও পড়ুন : বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড সিগারেট বা মশার কয়েল থেকে আগুন
ভারতীয় আইন অনুসারে, যে কেউ ‘অবহেলায় বা উদযাপনের জন্য বন্দুক থেকে গুলিবর্ষণ করতে’ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে অন্যদের বিপদে ফেলে, তার জেল বা জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে।
এর আগে ২০১৬ সালে উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনৌয়ের একটি আদালত আনন্দ উদযাপনের সময় গুলি চালানোর প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করা উচিত বলে রায় দিয়েছিল। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কিনা সেটি বিবেচনায় না নিয়ে এই ধরনের ঘটনা সেসময় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার মতে, উত্তর প্রদেশের ওই কনের গুলি চালানোর ভিডিওটি এক আত্মীয় রেকর্ড করেছিলেন। পরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুটেজটি পোস্টও করেন। পুলিশ এই সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, ঘটনাটির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় ওই নববধূ এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
আরেক সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, উত্তর-মধ্য ভারতের বিয়েবাড়িতে আনন্দ প্রকাশে গুলি চালানোর ঘটনা অবশ্য নতুন কিছু নয়। সেখানে প্রায়শই বিয়েবাড়িতে বর-কনেকে এভাবে শূন্যে গুলি ছুড়ে উদযাপন করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন : বাড়ল ঈদের ছুটি
বন্দুক চালানোর জন্য রীতিমতো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নয়। প্রয়োজন নিয়মিত অভ্যেসেরও। এছাড়া বন্দুক ব্যবহারের নানা নিয়ম আছে। যার একটু ব্যতিক্রম হলেই যে কোনও সময়ে হতে পারে বিপদ।
সান নিউজ/এসআই