আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। বন্যার সংকট মোকাবিলায় জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শেরি রেহমান অবিলম্বে মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারছি
সংবাদ সম্মেলনে শেরি রেহমান বলেন, বন্যায় পাকিস্তানজুড়ে আরও প্রায় ১ হাজার ৩৪৮ জন আহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ।
দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে প্রবল বর্ষণে প্রথমে বন্যা হয়। এরপর টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সিন্ধু প্রদেশের আরও ৩০ জেলা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এবারের বর্ষা মৌসুমে সিন্ধু এবং বেলুচিস্তানে গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩৯৫ ও ৩৭৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ইভিএমে অনিয়মের কোনো প্রমাণ নেই
এ ভয়াবহ বন্যায় চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে দেশটিতে। মানবিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই মুহুর্তে, সিন্ধু নদীর পানি উপচে সিন্ধু রাজ্য প্লাবিত হয়েছে, যা বিপর্যয়ের বর্তমান কেন্দ্রস্থল বলে মনে করা হচ্ছে।
সিন্ধুর ৩০টি জেলায়, এমনকি বেলুচিস্তানেও আশ্রয়কেন্দ্রও বিপজ্জনকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এখন দক্ষিণ পাঞ্জাবেও একই ভাবে নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত, বহু সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গবাদি পশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সিন্ধু প্রদেশে ২১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যায় প্রায় ১৫ লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই প্রদেশে।
আরও পড়ুন: ইভিএমে অনিয়মের কোনো প্রমাণ নেই
বর্তমান জলবায়ু বিপর্যয়ের জন্য মানবিক সহায়তার জন্য অবিলম্বে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সংহতি প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন শেরি রেহমান।
এদিকে, বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
সূত্র: জিও নিউজ
সান নিউজ/এমআর