সান নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানেরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির প্রধান বিরোধী দল তেহরিক-ই ইনসাফের প্রধান ইমরান খান অভিযোগ করে বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার (শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন) পাকিস্তানের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তারা মূলত ইসরায়েলকে স্বীকৃতি এবং কাশ্মির বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আপোষ করার দায়িত্ব নিয়ে ক্ষমতায় রয়েছে।’
আরও পড়ুন: তিস্তা চুক্তি আটকে আছে, এটা লজ্জার
রোবাবর (২৯ মে) খাইবার পাখতুনখাওয়ার চরসাদ্দায় দলের কর্মীদের এক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি। ডন’র এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
ইমরান খান বলেন, পিটিআই সরকার ৩০ শতাংশ কম দামে পেট্রোল আমদানির জন্য রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ভয়ে ‘আমদানি করা সরকার’ সেই চুক্তি বাতিল করে এবং দেশে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
গত ২৫ মে ‘আজাদী মার্চে’পিটিআই কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরবর্তী লং মার্চের সময় পুলিশের 'বর্বরতা' মোকাবেলার জন্য তার দল সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত থাকবে।
ইমরান খান বলেন, ‘আমরা এসব চোর ও আমেরিকার দাসদের মেনে নেব না। যারা দেশকে লুট করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমার দল আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে আলো জ্বলবে ১ জুন
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর ১৯৯৬ সালে রাজনীতির ময়দানে আসেন ইমরান খান। দুর্নীতি বিরোধী স্লোগানে ১৯৯৬ সালের এপ্রিলে প্রতিষ্ঠা করেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। পরের বছর ১৯৯৭ সালে তিনি নির্বাচনে দুটি কেন্দ্র থেকে দাঁড়ালেও দুটিতেই হেরে যান। তবুও থেমে যান নি তিনি। ২০০২ সালে নির্বাচনে জয়ী হন ইমরান খান।
২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট হয়ে মোশারফ তৎকালীন সেনা প্রধানের পদে থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছিলেন। ইমরান খান ওই নির্বাচনের বিরোধিতা করে ওই বছরের ২ অক্টোবর ৮৫ জন পার্লামেন্ট সদস্যদের সাথে পদত্যাগ করেন। সে বারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হয়ে মোশারফ পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারি করে। ইমরান খানকে গৃহবন্দী করা হয়। ওইসময় তিনি কিছুদিন হাজতবাসও করার পর মুক্তি পান।
২০১৩ সালে পাকিস্তানের ১০তম নির্বাচনে তার দল দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আসন জেতে। আর ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই পাকিস্তানের ১১ তম জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে তার দল আসন সংখ্যার বিচারে সর্ববৃহৎ দলে পরিণত হয়।
সান নিউজ/এনকে