আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নতুন একটি কৌশলগত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি।
জানা যায়, ইরানে ইসলামী বিপ্লবের ৪৩তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নতুন এ ক্ষেপণাস্ত্রটি উন্মোচন করেছে দেশটি।
অত্যন্ত ক্ষিপ্র গতিতে ও নিখুঁতভাবে ক্ষেপণাস্ত্রটি ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। অর্থাৎ ক্ষেপনাস্ত্রটি ইসরায়েল, উপসাগরীয় অঞ্চল ও মধ্যপ্রাচ্যর মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে আঘাত হানতে সক্ষম।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) একটি অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে খাইবার শেখান নামের এ কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্রটি উন্মোচন করা হয় যেখানে উপস্থিত ছিলেন ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি এবং আইআরজিসি অ্যারোস্পেস ডিভিশনের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেসহ ইরানের সামরিক বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
ইরান যখন ইসলামী বিপ্লবের ৪৩তম বার্ষিকী উদযাপন করছে তখন এই ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করা হলো।
খাইবার শেখান ক্ষেপণাস্ত্রটি তৃতীয় প্রজন্মের দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র যা ইরানের সামরিক বিশেষজ্ঞ ও আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ডিভিশন নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে।
ইরানের সামরিক কর্মকর্তারা জানান, সলিড ফুয়েল চালিত ক্ষেপণাস্ত্রটি শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভেতরে ঢুকে যেতে সক্ষম।
তাছাড়া লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সময় এটি উচ্চমাত্রায় কৌশলী কায়দায় আঘাত হানতে পারে।
আধুনিক নির্মাণশৈলীতে ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করার কারণে এর ওজন এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে ও আগের চেয়ে ছয় ভাগের এক ভাগ সময়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা সম্ভব। সূত্র: আরব নিউজ, প্রেসটিভি, পার্সটুডে।
ইরান যা ঐতিহাসিকভাবে পারস্য এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরান। জোমহুরিয়ে ইসলামিয়ে ইরান নামে পরিচিত, হল পশ্চিম এশিয়ার একটি দেশ।
ইরানের এর উত্তর-পশ্চিমে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান, উত্তরে কাস্পিয়ান সাগর, উত্তর-পূর্বে তুর্কমেনিস্তান, পূর্বে আফগানিস্তান, দক্ষিণ-পূর্বে পাকিস্তান, দক্ষিণে পারস্য উপসাগর এবং ওমান উপসাগর এবং পশ্চিমে তুরস্ক ও ইরাক অবস্থিত।
ইউরেশিয়ার কেন্দ্রে এবং হরমুজ প্রণালীর নিকটে অবস্থিত হওয়ায় দেশটি ভূকৌশলগতভাবে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: নিউজরুমে আত্মহত্যা করলেন সাংবাদিক
ইরানের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর তেহরান যা দেশটির অগ্রগামী অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও বটে। তেহরান পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে জনবহুল শহর যার জনসংখ্যা ৮.৮ মিলিয়ন এবং মহানগর অঞ্চল মিলিয়ে ১৫ মিলিয়নেরও বেশি।
ইরানের জনসংখ্যা ৮৩ মিলিয়ন এবং এটি বিশ্বের ১৭তম সর্বাধিক জনবহুল দেশ। ১৬,৪৮,১৯৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশটি মধ্যপ্রাচ্যের ২য় বৃহত্তম এবং পৃথিবীর সপ্তদশ বৃহত্তম রাষ্ট্র।
সান নিউজ/ এইচএন