আন্তর্জাতিক ডেস্ক :মিয়ানমারে গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের জেরে শীর্ষ জেনারেল মিং অং হ্লাং সংবিধান বিলোপের যে হুমকি দিয়েছেন তা সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
শনিবার( ৩০ জানুয়ারি) ওই প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা সংবিধানের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এবং আইন মেনে চলবে। জানা যায়, একজন সেনা মুখপাত্র পরোক্ষভাবে অভ্যুত্থানের হুমকি দেওয়ায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একাংশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
২০২০ সালের নভেম্বর মাসের নির্বাচনে এনএলডি নিরঙকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। সেনাবাহিনী সমর্থিত প্রভাবশালী বিরোধীদল ইউনিয়ন সলিডারিটি এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
বৃহস্পতিবার সেনাপ্রধান জেনারেল মিং অং হ্লাং বলেন, ‘২০০৮ সালের সংবিধান হচ্ছে সব আইনের মা।’ একে সবার সম্মান দেখানো উচিত। তবে প্রয়োজন হলে এই সংবিধান বাতিল করা হতে পারে। তারপর থেকেই অভ্যুত্থানের গুঞ্জন শুরু হয়।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়,নির্বাচনে প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে যে রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে তা সমাধানের ব্যবস্থা না করলে ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ওই ব্যবস্থা কী অভ্যুত্থান হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে এ সপ্তাহে সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, সেই আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।
তবে শনিবারের অফিশিয়াল বিবৃতিতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্প্রতি তাদের প্রধান জেনারেল সংবিধান বিলোপের যে কথা বলেছেন, সংবাদমাধ্যমসহ কিছু সংস্থা তার অপব্যাখ্যা করেছে। সামরিক আমলে তৈরি মিয়ানমারের সংবিধানে সেনাবাহিনীকে বেশ কিছু ক্ষমতা দেওয়া আছে।
যেমন: পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসনের সদস্য সরাসরি সেনাবাহিনী থেকে আসবেন। এতদিন পর্যন্ত দেশটির বেসামরিক সরকার সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করেই দেশ পরিচালনা করে আসছিল। নভেম্বরের নির্বাচন নিয়েই প্রথম দুই পক্ষ সরাসরি এতটা বিরোধে জড়িয়েছে।
সোমবার ১ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরুর আগে বেসামরিক সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যকার আলোচনা ভেস্তে গেছে। ক্ষমতাসীন দলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সামরিকপন্থী বিক্ষোভকারীরা দুটি শহরে জড়ো হয়েছেন।
সান নিউজ/এসএ