আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাইজেরিয়ায় কলেরায় আক্রান্ত হয়ে কমপক্ষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা কলেরা প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন : তাপপ্রবাহে নয়াদিল্লিতে ৫ জনের মৃত্যু
বুধবার (১৯ জুন) ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইজেরিয়ায় চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কলেরায় কমপক্ষে ৩০ জন মারা গেছেন। মৃতদের অনেকেই দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী লাগোসের বাসিন্দা।
কলেরা হলো অন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ; যা দূষিত খাবার এবং পানির মাধ্যমে ছড়ায়। কলেরায় আক্রান্তদের সাধারণত গুরুতর ডায়রিয়া, বমি, পেশীর খিঁচুনি এবং কখনও কখনও মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে।
আরও পড়ুন : আসামে ভয়াবহ বন্যা
চলতি সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় লাগোস রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত সেখানে কলেরায় ১৫ জনের মৃত্যুর ও সন্দেহভাজন ৩৫০ জনের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন।
লাগোসের পানি সরবরাহবিষয়ক সংস্থা লাগোস ওয়াটার কর্পোরেশন বাসিন্দাদের অনির্ভরযোগ্য কিংবা অপরিশোধিত উৎসের পানি পানের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছে। লাগোস রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, কলেরা প্রাদুর্ভাবের প্রাথমিক কারণ দূষিত পানি পান এবং অপর্যাপ্ত স্যানিটেশনের সাথে সংশ্লিষ্ট বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে লাগোস ওয়াটার কর্পোরেশন।
আরও পড়ুন : ইরানে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৯
গত সপ্তাহে নাইজেরিয়ার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন দেশজুড়ে বর্ষাকালে এই রোগের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়। সংস্থাটি জানায়, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কলেরায় ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর আফ্রিকার সর্বাধিক জনবহুল এই দেশটিতে কলেরার প্রাদুর্ভাবে অন্তত ১২৮ জন মারা যান এবং আক্রান্ত হন ৩ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষ। যদিও তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে দেশটিতে কলেরায় প্রাণ যায় মাত্র দু’জনের।
বিশ্বের কলেরা প্রাদুর্ভাবের জন্য বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ নাইজেরিয়া। দেশটিতে ২০২১ সালে কলেরা মহামারি আকার ধারণ করে। ওই বছর নাইজেরিয়ায় কলেরায় প্রাণ হারান ২ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষ। সেই সময় কলেরায় মৃতদের বেশিরভাগই ছিল শিশু; যাদের বয়স ১৪ বছরের নিচে বলে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সান নিউজ/এমআর