প্রতীকী ছবি
ফিচার

সৈয়দপুরে স্কুল-কলেজে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

আমিরুল হক, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে উদ্বিগ্ন বিশ্বে বিভিন্ন দেশ। ইতিমধ্যে আমাদের দেশেও নতুন এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অথচ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না নীলফামারীর সৈয়দপুরের অধিকাংশ স্কুল-কলেজে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিয়মিত তদারকি করার কথা থাকলেও তা কর হচ্ছে না। এ অবস্থায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমণের শঙ্কায় আছেন অভিভাবকরা।

করোনায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত বছরের শেষের দিকে খুলে দেওয়া হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠিানগুলো। এক্ষেত্রে ৯টি স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা জারি করা হয়। প্রথম দিকে নির্দেশনা মেনে কার্যক্রম পরিচালিত হলেও বর্তমানে তা উপেক্ষিত অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

সরেজমিনে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারীদের অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। ক্লাস চলাকালে দূরত্ববিধিও নেই শিক্ষার্থীদের। শ্রেণিকক্ষে প্রতি বেঞ্চে গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। শিক্ষার্থী ছাড়াও শিক্ষক কর্মচারীদের মুখেও নেই মাস্ক। নির্দেশনায় থাকলেও হাতের নাগালে নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হাত ধোয়ার আলাদা ব্যবস্থা।

এমনকি মাপা হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা। নির্দেশনায় বলা হয়েছে এমনভাবে পাঠদান পরিচালনা করতে হবে যাতে এক শ্রেণির শিক্ষার্থীর সাথে অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দেখা সাক্ষাত না হয়। কিন্তু করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই শিক্ষা কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সকালে শিক্ষার্থীর সমাবেশও হচ্ছে। এতে সব শ্রেণির শিক্ষার্থী একসাথে সমবেত হচ্ছে।

এছাড়া বিরতিহীন পাঠদানের কথা বলা হলেও দেওয়া হচ্ছে টিফিন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মাস্ক ছাড়া জটলা করে আড্ডা ও মাঠে একসাথে খেলাধূলা করতে দেখা গেছে। এমনকি ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে ফুটপাতের দোকান থেকে ফুচকা কিনে খাচ্ছে।

স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই অভিভাবকদের মাঝেও। শহরের প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয়ের সামনেই অভিভাবকদের ভিড়। সেখানে গাদাগাদি করে একে অপরের সঙ্গে গল্পে মত্ত থাকছেন তাঁরা।

সৈয়দপুর আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান বলেন, মাস্ক ছাড়া কোনো শিক্ষার্থীকেই স্কুলে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যেসব শিক্ষার্থী মাস্ক ছাড়া স্কুলে এসেছে তাদের জন্য আমরা স্কুল থেকেই মাস্কের ব্যবস্থা করেছি। ভর্তি কার্যক্রম চলছে তাই শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার কাজ নিয়মিত করা যাচ্ছে না।

সৈয়দপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেহেনা ইয়াসমিন বলেন, স্বাস্থ্যবিধির উপেক্ষিত বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্দেশনা অমান্য করলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারপরও আমরা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করবো। আগামী মাসিক মিটিংয়ে এ নিয়ে তাগাদা দেয়া হবে।

সান নিউজ/এমকেএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

আড়িয়ল ইউপিতে উপ-নির্বাচন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত 

ভোলা প্রতিনিধি: তীব্র তাপদাহ থেকে...

খাগড়াছড়িতে গৃহকর্মীকে জিম্মির অভিযোগ 

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ

কার্বণ মিল ও সীসা কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী প্রতিনিধি:

অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাস চাপায় চুয়েট...

রাজধানীতে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর শাঁখা...

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাড়ছে না ছুটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : আবহাওয়া অধিদপ্...

আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি মাসে তিন...

রংপুরে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়

রংপুর প্রতিনিধি : সারাদেশের মতো র...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা