মনরো ১৯২৬ সালের ১ জুন ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম ছিল নর্মা জিন মর্টেনসন। তিনি গ্লাডিস পার্ল বেকারের (প্রদত্ত নাম মনরো, ১৯০২-১৯৮৪) তৃতীয় সন্তান। গ্লাডিস কনসলিডেটেড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ফিল্ম নেগেটিভ কাটার হিসেবে কাজ করতেন। গ্লাডিস পনের বছর বয়সে তার চেয়ে নয় বছরের বড় জন নিউটন বেকারকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান রবার্ট (১৯১৭-১৯৩৩) এবং বার্নিস (জন্মঃ ১৯১৯)। ১৯২১ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এবং বেকার তার সন্তানদের নিয়ে কেন্টাকি চলে যায়। মনরো তার ভাই বোনদের কথা জানতে পারে এবং তার বড় বোনের সাথে সাক্ষাৎ হয় তার ১২ বছর বয়সে। ১৯২৪ সালে গ্লাডিস তার দ্বিতীয় স্বামী মার্টিন এডওয়ার্ড মর্টেনসনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু মনরো যখন গ্লাডিসের পেটে তখন তা অন্য কারো সন্তান জানতে পেরে মার্টিন ১৯২৮ সালে তাকে তালাক দেন। মনরোর পিতার পরিচয় অজ্ঞাত এবং বেকারই তার উপনাম হিসেবে ব্যবহৃত হত।
১৯৪২ সালের ১৯ জুন তার ১৬তম জন্মদিনের কয়েকদিন পরে তিনি তার প্রতিবেশীর পুত্র এয়ার ক্রাফট প্লান্টের একজন চাকরিজীবী জেমস "জিম" ডগার্থিকে বিয়ে করেন। মনরো স্কুল থেকে ড্রপ আউট হয়ে যান এবং গৃহিণী হয়ে যান। পরে তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, "বিয়ের ফলে অখুশিও হয়নি আবার সুখীও হয় নি। আমার স্বামী এবং আমি খুব কমই একে অপরের সাথে কথা বলতাম। এটা আমরা একে অপরের উপর রাগান্বিত ছিলাম সে জন্য নয়। আমাদের কথা বলার কিছু ছিল না। ফলে আমি অস্বস্তিতে ছিলাম।"
মনরোর অভিনয় জীবন শুরু হয় মডেলিং দিয়ে ১৯৪৬ সালে। এখানেই মনরো বাদামি বা ব্রাউনিস কালার চুল কে প্লাটিনাম হোয়াইটের এক আভা আনেন যা তার ট্রেডমার্ক বলা চলে। আর তার নামের পরিবর্তে নতুন নাম হয় মেরিলিন মনরো। ১৯৪৭ সালে টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স স্টুডিওর সাথে চুক্তিবদ্ধ হন মনরো এবং দুটি মুভিতে তাকে প্রথমবারের মত দেখা যায়। ১৯৪৯ সালে মনরো আবার মডেলিংয়ে ফিরে আসেন।
১৯৫০ সালে অল অ্যাবাউট ইভ নামে চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। ১৯৫৭ সালে মুক্তি পায় বিখ্যাত ছবি দ্য সেভেন ইয়ার ইচ। এছাড়াও হাউ টু মেরি আ মিলিয়নিয়ার, দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য শোগার্ল প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করে তিনি বিশ্বকে মন্ত্রমুগ্ধ করেন। সাম লাইক ইট হট ছবিতে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতধর্মী বা কমেডি অভিনেত্রী হিসেবে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৬২ সালের ৪ আগস্ট লস অ্যাঞ্জেলেসের ব্রেন্টউডে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন মনরো। ধারণা করা হয়, মাত্রাতিরিক্ত ট্যাবলেট খেয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন।
সূত্র: উইকিপিডিয়া
সাননিউজ/ইউকে