ফ্যাশন

হোম অফিস, সাজিয়ে ফেলুন নিজের কাজের জায়গা 

সান নিউজ ডেস্ক : করোনা মহামারির দিনে আবার ফিরে এল হোম অফিস। হোম অফিস মানে ঘরে থেকেই অনলাইনে অফিসের কাজ সারা। মিটিং, প্রেজেন্টেশন, কাজ নিয়ে সাধারণ আলোচনা বা অফিসের দায়িত্বগুলো ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ কম্পিউটারে সেরে ফেলা এখন খুবই সাধারণ ও স্বাভাবিক একটি বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

বই পড়ার ঘর, শোবার ঘর বা বসার ঘরও হতে পারে হোম অফিসের ভালো স্পেস। তবে সে ক্ষেত্রে জায়গাটা কাজের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য ও আরামদায়ক হওয়া উচিত। প্রয়োজনীয় সব জিনিস যেন হাতের কাছেই পাওয়া যায়, তা–ও ঠিকঠাক করে নেওয়া জরুরি। এ ছাড়া দিনের অনেকটা সময় যেহেতু এই টেবিল-চেয়ারেই কাটাতে হয়, তাই জায়গাটির সাজে একটু পরিপাটি ভাব থাকলে কাজে মন দেওয়া সহজ হবে।

মিনিমাল সাজ :

যাঁরা খুব গোছানা ও পরিপাটি কাজের জায়গা পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য মিনিমাল সাজ সঠিক হবে। মিনিমাল সাজ মানে অল্প আসবাব বা উপাদানেই জায়গাটি সাজিয়ে নেওয়া। ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের জন্য একটা ঠিকঠাক টেবিল, টেবিলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, কলম, চা রাখার মগ/ কাপ—ব্যস, এই তো। কাজের জায়গায় অল্প জিনিস থাকলে প্রয়োজনীয় কোনো কিছু চট করে খুঁজে পেতেও সুবিধা হবে। টেবিলে ফুলদানিতে একগুচ্ছ টাটকা বর্ষার ফুল রাখা যেতে পারে।

অফিসকে ঘর থেকে আলাদা করুন :

ঘরে জায়গা কম থাকলে ছোট আকারের অফিস স্পেসই আদর্শ। সে ক্ষেত্রে আসবাব বাছাই করতে হবে সৃজনশীল উপায়ে। সাধারণত কাজের টেবিলের কারণে ঘরের অনেকটা জায়গা দখল হয়ে যায়। তাই জায়গা বাঁচাতে ভাঁজ দেওয়া বা ফোল্ডিং টেবিল হতে পারে সমাধান। অফিস করার জন্য ঘরের টেবিল টানাটানি না করে কিনে নিতে পারেন ছোট একটা পোল্ডিং টেবিল। কাজ শেষে দেয়ালের সঙ্গেই আবার ঝুলে থাকবে টেবিলটি। ফলে জায়গা বাঁচাবে আর কাজেও ব্যবহার করা যাবে। এই জায়গায় একটু নতুনত্ব আনতে টেবিলের ঠিক ওপরে কাঠের লম্বা সেলফ করে তাতে বই, শোপিচ বা ফুল রাখা যায়। ঘর আর অফিস যেন এক না হয়ে যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

প্রাকৃতিক আলো :

অফিসের কাজ মানে সেখানে দরকার পর্যাপ্ত আলো। কারণ, আলো কম থাকলে কাজের প্রতি তৈরি হবে অনীহা। তাই যথেষ্ট সূর্যের আলো যেন থাকে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। জানালার কাছে বা বারান্দার পাশে থাকলে কৃত্রিম আলোর দরকারই হবে না। ঘর থেকে আলাদা করতে বারান্দার এক কোণেও কিন্তু আপনি অফিসের ব্যবস্থা করে নিতে পারেন।

সৃজনশীল কাজের স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ জায়গা :

রঙের প্রতি যাঁদের আলাদা টান আছে, তাঁদের জন্য রঙিন স্পেস বাড়াবে কাজের প্রতি আগ্রহ। কাজের জায়গার চারদিকে রঙিন পেইন্টিং, লাল, নীল বা সবুজ শোপিচ বা ফাওয়ার ভাস রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া টেবিল-চেয়ার, টেবিলে রাখা ল্যাম্পশেড রাখতে পারেন। মেঝের কার্পেটের ক্ষেত্রে গাঢ় ও কয়েক রঙের মিশেলকে প্রাধান্য দিতে পারেন। এতে কাজের জায়গাটি ঘিরে বেশ একটা রঙিন রঙিন আবহ তৈরি হবে।

সবুজে ঘেরা :

কাজের জায়গা সবুজে ঘেরা হলে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। চোখের আরাম হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুর অক্সিজেন পাওয়া যায়; যা ঠান্ডা ও ফুরফুরে অনুভূতি দেবে। টেবিলের ওপরে ছোট পটে মানিপ্ল্যান্ট দেওয়া যেতে পারে। মেঝেতে টবে মাঝারি গাছে জায়গাটি অনায়াসেই ছিমছাম করে সাজিয়ে তোলা যায়।

সান নিউজ/এসএ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

শিবগঞ্জে রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এলাকাবাসীর

শিবগঞ্জের শাহাবাজপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ি হতে বিনোদপু...

সাঁওতাল কৃষক বিদ্রোহ দিবসে দিনাজপুরে শপথ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি

সোমবার (৩০ জুন) দিনাজপুরের লোকভবন টাউন হল প্রাঙ্গণে ঐতিহাসিক সাঁওতাল কৃষক বিদ...

পদ্মা-যমুনায় ইলিশের আকাল, জেলেরা ফিরছে খালি হাতে

দেশ-বিদেশে সুখ্যাতি থাকলেও গোয়ালন্দের যমুনা ও পদ্মা নদীর মোহনায় জেলের জালে দে...

বগুড়ায় পেটে লাথি মেরে বাচ্চা মেরে ফেলার অভিযোগ

বগুড়ায় যৌতুকের দাবিতে এক গর্ভবতী গৃহবধুকে নির্যাতন সহ পেটে লাথি মেরে বাচ্চা...

মুরাদনগরকাণ্ড, মামলা তুলে নিতে চান ভুক্তভোগী

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে চাঞ্চল্যকর কোন কিছু ভাইরাল হতে সময় লাগে না।...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা