সান নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অভিনেত্রী অর্পিতা মুখার্জির কাণ্ডে তোলপাড় পুরো রাজ্য। এবার আলোচনায় উঠে এসেছেন আরেক প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র ও‘ মা’ সিরিয়াল খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কাকে ১৬ কোটি ডলার দিল বিশ্বব্যাংক
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে এ বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন—‘কে বলছে এসব? আমাকে কিন্তু কেউ কিচ্ছু বলেননি। এ নিয়ে কেউ কোনো চাপও তৈরি করছেন না।’
মুখে কেউ কিছু বলছেন না। কিন্তু টলিপাড়ায় জোর চর্চা চলছে। এ তথ্য জানাতেই শ্রীতমা বলেন, ‘আমার সঙ্গে বা যেকোনো তারকার সঙ্গে রাজনীতিবিদদের জড়িয়ে এত কথা কিন্তু অর্থহীন। রাজনীতিতে আসার আগেও অভিনেত্রী শ্রীতমা কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ পেয়েছেন। মমতা মুখার্জি গুণীর কদর করতে জানেন। শিল্পীদের খুব ভালোওবাসেন। সেই সূত্রে আমাদের পারস্পরিক আদানপ্রদান থাকেই। আর নির্বাচনে জিতে পৌরমাতা হওয়ার পরে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক একদম পেশাগত। ওরা কেউ আমার মন্ত্রী, বিধায়ক বা সাংসদ। আমি পৌরমাতা। যেমন: মদন মিত্রের এলাকায় আমি পৌরমাতা।’
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ২৬ ট্রলারে ডাকাতি
এর বাইরে মদন মিত্রর সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক নেই? জবাবে শ্রীতমা বলেন, ‘হ্যাঁ, আছে তো। ওনাকে আমি আমার বাবার বন্ধু হিসেবে বহু বছর আগে থেকেই চিনি। মদন মিত্রের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক। বাবার ওপেন হার্ট সার্জারির সময় মদনদা এবং ওনার পুরো পরিবার আমাদের পাশে ছিলেন। অস্ত্রোপচার থেকে ওষুধ— বাবার চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব কামারহাটির বিধায়ক নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন। বাবা চলে যাওয়ার পরেও উনিই আমার বাবার জায়গা নিয়েছেন। মদন মিত্র শ্রীতমা ভট্টাচার্যের অভিভাবক। আর আমাকে নিয়ে গুঞ্জন তো নতুন নয়!’
প্রসঙ্গত, ‘মা’ ধারাবাহিক নাটকে কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রের নাম ঝিলিক। আর চরিত্রটি রূপায়ন করে দারুণ দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেন অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্য। কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের কামারহাটি পৌরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন শ্রীতমা।
সান নিউজ/এনকে