সান নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালে পরীক্ষামূলকভাবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের তিনটি শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বই প্রণয়ন করা হয়েছে। নতুন এ শিক্ষাক্রমের পাশাপাশি আগের শিক্ষাক্রমের বেশকিছু বইয়ে ভুল ও চৌর্যবৃত্তির (লেখা চুরি) অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: রমজানে ২ বার টিসিবির পণ্য দেওয়া হবে
এ বিষয়ে সরব হয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ইতোমধ্যে তিন বইয়ের নয়টি ভুল সংশোধন করেছে সংস্থাটি। এবার এসব ভুলের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করবে এনসিটিবি।
আগামীকাল সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলের সঙ্গে এনসিটিবির বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ভুলের বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। যারা ভুল করেছেন এবং প্লেজিয়ারিজমের (চৌর্যবৃত্তি) সঙ্গে জড়িত, তাদের আগামীতে পাঠ্যপুস্তক এবং তৎসংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত করা হবে না।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলের সেনাপ্রধান বরখাস্ত
ফরহাদুল ইসলাম বলেন, যেসব ভুল রয়েছে, তার সংশোধনী ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনে এবং এনসিটিবির ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়েছে। যেখানে সারা দেশের সকল প্রতিষ্ঠানের সংযুক্তি রয়েছে। আমরা তাদের একটি ইন্সট্রাকশন (নির্দেশনা) দিয়েছি।
চলতি বছরে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিভেদে দুই ধরনের বই হাতে পেয়েছে। এর মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পেয়েছে। অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পুরনো শিক্ষাক্রমের আলোকে বই হাতে পেয়েছে।
আরও পড়ুন: কোরআন পুড়িয়ে কট্টরপন্থিদের বিক্ষোভ
প্রণীত নতুন পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে প্রথম আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয় সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বই নিয়ে। এ বইয়ের প্রথম অধ্যায় ‘জীববৈচিত্র্য‘ পাঠে দেখা যায়, এর বেশকিছু অংশ পুরোপুরি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ওয়েবসাইট থেকে অনুবাদ করা হয়েছে একদম হুবহু।
প্রসঙ্গত, এ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে এর দায় স্বীকার করেন এবং বিবৃতি দেন বইটির রচনা ও সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থাকা অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক হাসিনা খান।
সান নিউজ/জেএইচ/এনকে