নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের ঘটনা ঘটে বরগুনার তালতলীতে। অভিযোগ উঠেছে , বরগুনার তালতলী উপজেলা মৎস্য অফিসের মাঠ সহায়ক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আবুল কাসেম এর বিরুদ্ধে। তিনি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাগরে ইলিশ শিকার করেছেন।
আবুল কাসেম ট্রলার থেকে মা ইলিশ আড়তে মজুদের সময় স্থানীয়রা ধরে ফেলে। এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাতে তালতলী উপজেলা প্রশাসন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
জেলেদের অভিযোগ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইনের যোগসাজশে আওয়ামীলীগ নেতা ও তার ছেলে সাগরে ইলিশ মাছ শিকার করে। রবিবার দিবাগত রাতে ইলিশ মাছ নিয়ে ওই ট্রলার দুটি ফকিরহাট ঘাটে আসেলে ট্রলারের লোকজন ইলিশ মাছ ড্রামে ও বস্তায় ভরে মৎস্য আড়তে রাখেন। তারপরই স্থানীয় জেলে আমির হোসেন ও রুবেল উপজেলা মৎস্য অফিসের মাঠ সহায়ক রিঙ্কুর আড়তে বস্তায় ভরে রাখা ইলিশ মাছ আটক করেন। তখন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও সাড়া মেলেনি। পরে রাতেই আড়ত থেকে ম্যানেজার আল আমিন, জলিল ফকির ও রিঙ্কু মাছ সরিয়ে ফেলেছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের উপস্থিতিতে তদন্ত করে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা আমতলীর ইউএনও মো. রোকনুজ্জামান খান তদন্ত কমিটি গঠনের আদেশে স্বাক্ষর করেন।
সাননিউজ/আরআরপি