পাঁচ বছর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দফতরের ‘অফিস সহায়ক’ পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে প্রতারণার অভিযোগে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের কর্মচারী মো. ইমরানকে (৩০) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ঢাকা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী দুলাল মিত্র এবিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাদীর সঙ্গে আসামির আপোষ না হওয়ায় আদালত তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। বর্তমানে আসামি প্রধান উপদেষ্টার দফতরের এসএসএফ (বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী)-এর চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসাবে কর্মরত আছেন। তবে প্রতারণা করার সময় আসামি নিজেকে এসএসএফ-এর কর্মকর্তা দাবি করেন।
এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ‘অফিস সহায়ক’ পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নেন আসামি ইমরান। পরবর্তীতে বাদী সুবাস মালো (৩০) আসামির কাছে চাকরি চাইলে বিভিন্নভাবে ঘুরাতে থাকেন ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বাদীর পাওনা টাকা ফেরত চেয়ে আসামির কাছে সাত দিনের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। আসামি ইমরানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর পরেও টাকা ফেরত দেননি। এরপর বাদী সংশ্লিষ্ট আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ এবং প্রতারণা অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অপরাধের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক মো. মমতাজ উদ্দিন। পরবর্তীতে আদালত এই প্রতিবেদন আমলে গ্রহণ করে আসামিকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়। আসামি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে চলতি বছরের ১৪ আগস্ট আসামি গ্রেফতার হয়।
পরে আসামিকে বাদীর সঙ্গে আপোষের শর্তে জামিন মঞ্জুর করেন। তবে উভয়পক্ষের মধ্যে আপোষ না হওয়ায় আজ মঙ্গলবার আদালত আসামির জামিন বাতিলের নির্দেশ দিয়ে আসামি ইমরানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।