জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম হত্যা মামলা বাতিল ও জামিন চেয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের করা আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে।
অবকাশ শেষে আদালত খোলার এক সপ্তাহ পর শুনানির সময় রাখার জন্য রবিবার আরজি জানান সাবেক প্রধান বিচারপতির আইনজীবী। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আরজি মঞ্জুর করেন।
সুপ্রিম কোর্টের বর্ষপঞ্জি অনুসারে, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে অবকাশ শুরু হচ্ছে। অবকাশ শেষে ১৯ অক্টোবর থেকে নিয়মিত আদালত বসবেন।
এর আগে ৭ আগস্ট ওই মামলার কার্যক্রম স্থগিত ও জামিন চেয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনটি ১১ আগস্ট আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে। সেদিন রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আরজি জানায়। আপত্তি জানান খায়রুল হকের আইনজীবীরা।
এ নিয়ে সেদিন আবেদনের শুনানিকে কেন্দ্র করে একপর্যায়ে আদালতকক্ষে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। আদালত আবেদন শুনানির জন্য আজ ১৭ আগস্ট দিন রাখেন। আজ আদালতের কার্যতালিকায় আবেদনটি ১৫ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
আদালতে আজ খায়রুল হকের পক্ষে আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম বলেন, তাঁরা সময় চাচ্ছেন। ওয়ান উইক আফটার ভ্যাকেশন (অবকাশের এক সপ্তাহ পর) চাচ্ছেন।
এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এর আগে সময় চাওয়া নিয়ে আদালতে সিনক্রিয়েট হয়েছে। এখন আবেদনকারীপক্ষ সময় চাইলে আপত্তি থাকবে না। পরে আদালত সময় চেয়ে করা আবেদন মঞ্জুর করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাসেল আহম্মেদ ও এমরান খান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ ছফওয়ান, উজ্জ্বল হোসেন ও জসিম উদ্দিন।
পরে আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম বলেন, আবেদনকারীর আইনজীবীদের ব্যক্তিগত অসুবিধা থাকায় সময় চাওয়া হয়েছে।
গত ২৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বেআইনি রায় দেওয়া ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের একটি মামলায়ও খায়রুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত বছরের ২৫ আগস্ট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী ভূঁইয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এ বি এম খায়রুল হক ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয়।
সাননিউজ/এসএ