এস এম সাইফুল ইসলাম কবিরমম, বাগেরহাট : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে ৩ যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কৃষি ব্যাংকের সকল কার্যক্রম। যে কোন সময় ভবন ধসে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন : গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
সরেজমিনে জানা গেছে, ব্রিটিশ শাসন আমলে নির্মাণাধীন উপজেলার জমিদার জিতেন্দ্র নাথ দাসের দ্বিতল বাস ভবনের জরাজীর্ণ পুরাতন ভবনের ৩টি কক্ষে ১৯৭৬ সালে শুরু হয় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মোরেলগঞ্জ শাখার কার্যক্রম। এ শাখায় গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। বর্তমানে কর্মরত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মিলন কুমার লস্কর সহ প্রিন্সিপাল অফিসার ৩ জন, সেকেন্ড অফিসার ১ জন, ফিল্ড অফিসার ৩ জন, অফিসার ক্যাশিয়ার ১ জন ও নিরাপত্তা প্রহরী রয়েছে ৩ জন।
২০১৯ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়টি অবহিত এবং স্থান পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু এখোনো এ বিষয়ে কোন সুরাহা হয়নি।
আরও পড়ুন : ইয়াবসহ দুই মাদক কারবারী আটক
ইংরেজ শাসন আমলে জমিদারি প্রথা পরিচালনার জন্য নির্মিত এ ভবনটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে ইট সুরকি পলেস্তরা খসে পড়ছে। এ পর্যন্ত শতাধিক গ্রাহক সহ ৮-১০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী আহত হয়েছে। বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে পানি চুঁইয়ে সয়লাব হয়ে যায়। জরাজীর্ণ ভবনের মধ্যে মাঝে মাঝে বিষধর সাপও দেখতে পাওয়া যায়। দিনের বেলায় বিদ্যুতের আলো জ্বালিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের। এদিকে নাজুক ভবনটির সাধারণ গ্রাহকরা ব্যাংকের ভিতরে লেনদেন করতে ঢুকতে ভয় পায়। আতংক নিয়ে ব্যাংকের কাজ শেষ করে দ্রুত বেরিয়ে যাচ্ছে গ্রাহকরা।
ব্যাংকে সেবা নিতে আসা গ্রাহক তানিয়া আক্তার, অহিদুজ্জামান খান, আব্দুল হামিদ শেখ, সোহেল ফরাজী বলেন, ৬ বছর ধরে এ ব্যাংক থেকে কৃষি লোন নিয়েছি। লোন পরিশোধ করতে ব্যাংকে আসতে হয়। ব্যাংকে ঢুকে সার্বক্ষনিক ভয়ে থাকি। যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন : পুলিশ সদস্যকে অপহরণ, গ্রেফতার ৩
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ শাখায় ব্যবস্থাপক মিলন কুমার লস্কর বলেন, তিনি নিজেও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। উর্দ্ধতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া বক্তব্য দেওয়া সম্ভব নয়।
সান নিউজ/এমআর