নিজস্ব প্রতিনিধি: পাহাড়ে প্রাণের উৎসব আর সম্প্রীতির মেলবন্ধন বৈসাবি উৎসব। অরণ্য ঘেরা পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক উৎসব বৈসাবির উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে পাহাড়ের আনাচে কানাচে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হলেন শহিদুল ইসলাম
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালের দিকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে নানা রঙের বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে বর্ণাঢ্য বৈসাবি উৎসবের উদ্বোধন করেন ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলামং চৌধুরীর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি মং সার্কেল চিফ রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী ও খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা
উৎসবের উদ্বোধনকালে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, পাহাড়ের সব মানুষ যেন সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করতে পারে সেজন্য কাজ করছে সরকার। বৈসাবি উৎসব পাহাড়ের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন।
বৈসাবি উৎসবের উদ্বোধনের পর খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা খাগড়াছড়ি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে শাপলা চত্বর হয়ে টাউন হল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। উৎসব জুড়ে ছিল চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাক।
আরও পড়ুন: ঝড় তুললো ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরাদের ‘বৈসু’, মারমাদের ‘সাংগ্রাই’ আর চাকমাদের ‘বিজু’। এই তিনের আদ্যাক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’। ১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে ‘বৈসাবি’ নামের এ উৎসব পালন করে আসছে।
সান নিউজ/আর