সান নিউজ ডেস্ক: যশোরে মদ পানের কথা বলে ডেকে নিয়ে রনি (২৪) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট, চীনের মধ্যস্থতা চান মোমেন
রোববার (২ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার চাঁচড়ার দক্ষিণ বর্মনপাড়ার শ্মশান খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রনি চাঁচড়া এলাকার ইমরোজ হত্যা মামলার আসামি। চাঁচড়া মোল্লাপাড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা বাবুর ছেলে ও একটি হত্যা মামলার আসামি।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানা যায়, শনিবার (১ অক্টোবর) রাতে রনিকে মদ্যপানের কথা বলে ডেকে নিয়ে যায় একই এলাকার কুলিন বর্মনের ছেলে রকি (১৯)। এরপর আর খোঁজ মেলেনি রনির। নিহত রনি একটি হত্যা মামলার আসামি। সেই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতেই তাকে হত্যা করা হতে পারে। রনির বুকের বামপাশে একটি গুলি, শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত এবং তাকে অ্যাসিড পান করিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের দুলাভাই দেলোয়ার জমাদ্দার জানান, রনি কুমিল্লায় একটি কোম্পানির অধীনে বিদ্যুতের টাওয়ার স্থাপনের কাজ করেন। সম্প্রতি তিনি ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন। শনিবার বিকেলে একই এলাকার রকি, ইসজাজুল ও ইউসুফ পূজা দেখার কথা বলে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। আজ বিকেলে স্থানীয় লোকজন রকিকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে সে জানায়, বাড়ি থেকে একটু দূরে নারায়ণপুর শ্মশান এলাকায় পানিতে রনির মরদেহ রয়েছে।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন ইমরান খান
নিহত রনির পরিবারের বরাত দিয়ে চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আকিকুল ইসলাম জানান, রনি বিভিন্ন ব্যক্তির মাছের ঘেরে (খামারে) কাজ করতেন। গত শনিবার রাত থেকে ওই যুবক নিখোঁজ ছিলেন। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রোববার সন্ধ্যায় চাঁচড়া দক্ষিণ বর্মনপাড়ার শ্মশানে তার মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, নিহত রনির মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/কেএমএল