নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কোল্লাপাথর এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল করিম (৭৬) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি তিনি ছেলে ও আট মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন গুণগ্রাহী রেখে যান। তাঁর মৃত্যুর খবর কোল্লাপাথর এলাকায় পৌঁছলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
করোনায় আক্রান্ত আব্দুল করিম মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আব্দুল করিম কোল্লাপাথর এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি নিজে যেমন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তেমনিভাবে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কোল্লাপাথরে চিরনিদ্রায় শায়িত হওয়া ৫০ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার গণকবরের রক্ষণাবেক্ষণের 'দায়িত্ব' পালন করতেন।
আব্দুল করিমের মেঝো ছেলে মাহবুব করিম বলেন, বার্ধক্যজনিত নানান রোগে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৮ জুলাই বাবাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ২৩ জুলাই তার শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। পরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে আইসিইউতে নেয়া হয়। দুই দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে তিনি ওই হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি আরো জানান, তার দাদা আব্দুল মান্নান কোল্লাপাথর গণকবরের জায়গাটি দিয়েছিলেন। মোট ৫০ জনের গণকবরটি আব্দুল করিম নিজের সন্তানের মতো দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে রক্ষণাবেক্ষণ করেছিলেন। বুধবার বাদ জোহর নামাজে জানাজা শেষে কোল্লাপাথরে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আল-মামুন ভূইয়া জানান, তিনি আমাদের এলাকার একজন সর্ব্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ছিলেন। কোল্লাপাথর গণকবরটি তিনি রক্ষণাবেক্ষণ করতেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ও অভিভাবককে হারালাম।
সাননিউজ/ জেআই