নিজস্ব প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রাম ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নে মাকে বাঁচাতে গিয়ে প্রতিবেশীর লাঠির আঘাতে জাহিদ হাসান (১৮) নামে এক প্রতিবন্ধী কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় জাহিদ হাসানের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের কাচিচর এলাকার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ছলিমা বেগমের কাছে জনৈক মহিলা ত্রাণের জন্য আসেন। এ সময় বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় কাউন্সিলরের সঙ্গে ত্রাণের তালিকা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়।
এই রাস্তা নিয়ে প্রতিবেশী কাজল খান কাশেমের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল মহিলা কাউন্সিলরের। বাকবিতণ্ডা শুনে কাজল খান কাশেম মনে করেছিলেন তাকে উদ্দেশ্যে করে কাউন্সিলর ছলিমা চিৎকার করছেন। এই ভেবে বাড়ি থেকে বের হয়ে গাছের ডাল ভেঙে তিনি ছলিমাকে পেটাতে থাকেন। এ সময় ছলিমা মাটিতে পরে গেলে তার প্রতিবন্ধী ছেলে জাহিদ হাসান মাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও পেটানো হয়।
এ সময় জাহিদ হাসানের মাথায় ও চোখের ওপর বেড়ে ওঠা টিউমারে আঘাত লেগে ফেটে রক্ত বের হয়ে মারাত্মক আহত হয়। পরে মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন প্রতিবেশীরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরের দিকে জাহিদের মৃত্যু হয়। দুপুরেই কুড়িগ্রাম সদর থানার পুলিশের একটি দল ঘাতক কাজল খান কাশেমকে গ্রেফতার করে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার দৈনিক অধিকারকে জানান, ছেলেটি বিরল হেমাঙ্গজিওমা রোগে ভুগছিল। এটা রক্তনালীর টিউমার। টিউমারে আঘাত লাগায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক অধিকারকে জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) উৎপল কুমার রায়ের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামি কাজল খান কাশেমকে গ্রেফতার করেছে। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সান নিউজ/এসএ