সারাদেশ

ম্যাজিস্ট্রেট এলেও প্রতিষ্ঠিত ৩ ছেলের কেউই ঠাঁই দেননি বাবাকে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: বার্ধক্যের কারণে শয্যাশায়ী শফিকুল ইসলাম। তার সব ছেলেই প্রতিষ্ঠিত, কারোর অভাব নেই। আছে দালান বাড়ি, রোজগারও ভালো। দুই বছর আগে তিনি সন্তানদের সমস্ত সম্পত্তি ভাগ করে দেন। আজ তিনি অসহায়; ছেলেরা ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন। ম্যাজিস্ট্রেট এসেও বৃদ্ধকে কোন ছেলের ঘরে তুলে দিতে পারেননি।

শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘনা রোডের বাসার সামনে তাকে পড়ে থাকতে দেখা যায় শফিকুল ইসলামকে। সারাজীবন কষ্ট করে ছেলেদের প্রতিষ্ঠিত করলেও তাদের অট্টালিকায় ঠাঁই হয়নি অসুস্থ বাবার।

খবর পেয়ে বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল ইকবাল ও রাজীব হোসেন শফিকুলকে উদ্ধার করেন। এ সময় শফিকুলের ছেলেদের সঙ্গে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে অসুস্থ শফিকুলকে বড় মেয়ে সুরাইয়া বেগমের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।

সুরাইয়া বলেন, আমার বাবা তিল তিল করে এই সম্পত্তি গড়েছেন। বাবার ঘাম ঝরা উপার্জনে তিন ছেলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু আমার অসুস্থ বাবাকে তারা পাষণ্ডের মতো ঘর থেকে রাস্তায় ফেলে রেখেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শফিকুল ইসলাম বার্ধক্যজনিতরোগে শয্যাশায়ী। তিনি ছাপাখানায় কাজ করতেন। তার চার ছেলে ও তিন মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে শাহ আলম অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য, জাহাঙ্গীর আলম বিজিবি সদস্য, আলমগীর হোসেন প্রবাসী। আরেক ছেলে সোহাগ কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে সবারই বহুতল ভবনের বাড়ি রয়েছে। অসুস্থ শফিকুল তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের বাসায় ছিলেন। কিন্তু বাবার পরিচর্যা করতে অনীহা দেখিয়ে শুক্রবার সকালে বাসা থেকে বের করে অন্য ছেলে আলমগীর হোসেনের বাসা স্বপ্ন মহলের সামনে উঠানে ফেলে রাখেন। এরপর কোনো ছেলেই অসুস্থ বাবাকে ঘরে তোলেননি। উঠানে শফিকুলকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় এক ব্যক্তি জেলা প্রশাসনকে খবর দেন।

ঘটনাস্থলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল ইকবাল ও মো. রাজীব হোসেন পৌঁছে শফিকুলের ছেলেদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু কেউই বাবার দায়িত্ব নিতে রাজি হননি। পরে বড় মেয়েসহ স্থানীয়দের সঙ্গে ম্যাজিস্টেটরা কথা বলেন। এ সময় বাবাকে নিতে ইচ্ছে প্রকাশ করায় সরকারি গাড়ি দিয়েই শফিকুলকে বড় মেয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, শফিকুল খুব ভালো মানুষ। ছেলেদের প্রতিষ্ঠিত করতে অনেক কষ্ট করেছেন। তাদের সবারই বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। কিন্তু সেই ছেলেরাই তাকে অসুস্থ অবস্থায় ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। এটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ রকম ছেলে যেন কারো না হয়।

সান নিউজ/এমআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে হাতিয়াতে উঠান বৈঠক

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষ...

ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ইসলাম...

বাগেরহাটের কলার বাম্পার ফলন

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে বসেই কলার দাম ভালো পাওয়ায়...

ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে শাপলা চত্বরের ঘটনা

ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে শাপলা চত্বরের গণহত্যার ঘটনা এমন মন্তব্য কর...

একীভূত হচ্ছে না গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি

সম্প্রতি গুঞ্জন উঠে দেশের তরুণদের নিয়ে গঠিত দল দুইটি একীভূত হওয়ার বিষয়ে। তবে...

শাপলা নয় এনসিপিকে বালতি-বেগুনসহ ৫০ প্রতীকের অপশন

শাপলা প্রতীক নয় বরং বেগুন, বালতিসহ ৫০টি প্রতীক থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এন...

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৯৬

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এইডস ম...

আ. লীগের ঘাপটি মেরে থাকা অনুচরেরা এখনো তৎপর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজ...

লুটপাটের ভিডিও করায় সাংবাদিককে হেনস্তা 

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধ...

গাজাগামী ত্রাণবাহী জাহাজ আটক, নিরাপত্তার দাবি জামায়াতের

গাজামুখী ত্রাণবাহী জাহাজ আটক করার ঘটনায় ইসরায়েলের ন্যাক্কারজনক ভূমিকার তীব্র...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা