সারাদেশ

দাফনের সময় নড়ে উঠল নবজাতক

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

সিজার অপারেশনের পর নবজাতক মৃত বলে প্রসূতিকে চিকিৎসাধীন রেখে নবজাতককে দিয়ে দেওয়া হয় স্বজনদের কাছে।

কিন্তু বাড়িতে নিয়ে দাফনের প্রস্তুতির সময় দেখা যায় শিশুটি জীবিত, নড়াচড়া করছে। তাৎক্ষণিক শিশুটিকে এনে ভর্তি করা হয় নগরীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালের এনআইসিইউতে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৭ এপ্রিল শুক্রবার কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে।

এ ঘটনার জন্য নবজাতকের বাবা ও স্বজনরা কুমেক হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও আয়ার অবহেলাকে দায়ী করছেন।

ওই প্রসূতি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার চড়ানল গ্রামের জামাল হোসেনের স্ত্রী শিউলী আক্তার। এদিকে এমন ঘটনায় গত দুইদিন ধরে হাসপাতাল ও প্রসূতির গ্রামের বাড়িতে বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

তবে কুমেক হাসপাতালের পরিচালক বলেন- বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রমাণ পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, শিউলী আক্তারের প্রসব বেদনা দেখা দিলে তাকে গত বৃহস্পতিবার ১৬ এপ্রিল সকালে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনে তার একটি ছেলে সন্তান হয়।

নবজাতক শিশুর বাবা জামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, জন্মের পর একজন আয়া আমাদের কাছ থেকে প্রথমে একটি কাঁথা নিয়ে শিশুটিকে মুড়িয়ে হাসপাতালের মেঝেতে ফেলে রাখেন। কিছুক্ষণ পর শিশুটিকে একটি কার্টনের ভেতরে রেখে আরও প্রায় ৪ ঘণ্টা বারান্দায় ফেলে রাখা হয়। এরপর মৃত বলে শিশুটিকে দাফনের জন্য আমাদের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়িতে নিয়ে শিশুকে দাফনের প্রস্তুতির সময় কার্টন খুলে দেখা যায় শিশুটি জীবিত, নড়াচড়া করছে।

এ অবস্থায় একটি সিএনজিযোগে দ্রুত শিশুকে কুমিল্লা শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে (মুন হসপিটাল) এনে নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরো বলেন, জন্মের পর শিশুটির দিকে কোন ডাক্তার বা নার্স নজর দেননি, তারা শিশুর মাকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। এ ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও আয়া দায়ী। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।

এদিকে মুন হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক ডা. তাপস চৌধুরী জানান, ‘চিকিৎসকের মৃত ঘোষণা ছাড়া একজন আয়া কিভাবে এ কাজ করে সেটা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। ২৮ সপ্তাহের আগে প্রি-ম্যাচিউর এ শিশুটি অলৌকিকভাবে বেঁচে আছে। শিশুটিকে সুস্থ করে তোলার জন্য আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি।’

কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বলেন, আমি জেনেছি, শিশুটির অবস্থা একেবারে খারাপ পজিশনে চলে যাওয়ায় চিকিৎসক প্রসূতির অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছেন এনআইসিইউতে নেয়ার জন্য। এ হাসপাতালে (কুমেক) এনআইসিইউ কার্যকর নেই। তাই তারা প্রাইভেট হাসপাতালে না নিয়ে শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে যায়। এখন জেনেছি, ওই শিশুকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বিষয়টি যেহেতু আমার নজরে এসেছে। তাই সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানের সাথে আমি কথা বলব। এক্ষেত্রে তদন্ত করে কারো গাফিলতি প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সান নিউজ/সালি

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

স্বাধীনতা দিবস ছাত্রলীগের ইফতার বিতরণ 

সোলাইমান ইসলাম নিশান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি...

লক্ষ্মীপুরে অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ 

সোলাইমান ইসলাম নিশান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি...

পঞ্চগড়ে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু 

মো. রাশেদুজ্জামান রাশেদ, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:...

রামগড়ে গাঁজাসহ আটক ১

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির রামগড়ে আট...

ত্রিশালে নতুন করে ত্রাস সৃষ্টি করছে কিশোর গ্যাং

মো. মনির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার...

আলুর দাম বাড়ার আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত বছরের চেয়ে এ...

ইসলামী ব্যাংকের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এব...

বিএটি বাংলাদেশের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রিটিশ আমেরিকা...

হাতিয়ায় পুকুরে ধরা পড়ল ১০০ ইলিশ

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর হাতিয়াতে একটি পুকুরে ১০০ রুপা...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা