সারাদেশ

পাল্টাপাল্টি মামলা চেম্বার পরিচালক ও পৌর কাউন্সিলরের

নিজস্ব প্রতিনিধি, জামালপুর : জামালপুরে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ নিয়ে সংঘর্ষ, দোকান-বাড়িঘর ও গাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলাসহ পরস্পরকে দোষারোপ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয় কাউন্সিলর ও চেম্বার অব কর্মাসের পরিচালক।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় শহরের কাচারিপাড়ায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন জামালপুর চেম্বার অব কর্মাসের পরিচালক একেএম শফিকুল ইসলাম জুলহাস। অপরদিকে, দুপুর সাড়ে ১২টায় জামালপুর পৌরসভা প্রাঙ্গণে ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহরিয়ার আলম ইদু সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে চেম্বার অব কর্মাসের পরিচালক একেএম শফিকুল ইসলাম জুলহাস জানান, পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহরিয়ার আলম ইদু একজন চিহ্নিত মাদকসেবী ও বিক্রেতা। কাউন্সিলর নির্বাচিত হবার পর তার সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। চাঁদা না দেওয়ায় বুধবার দুদফায় ওই কাউন্সিলরের নেতৃত্বে আমার দোকান ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালায় সন্ত্রাসীরা। তারা আমার ম্যানেজার ও ছেলে জিমিসহ ৪/৫ জনকে মারধর করে। অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া না হলে চাল ব্যবসায়ীসহ ব্যবসায়ীরা ধর্মঘটের ডাক দেয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চেম্বার অব কর্মাসের পরিচালক একেএম শফিকুল ইসলাম জুলহাসের ভাই একেএম তফিকুল ইসলাম তছলিম, জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আওলাদ হোসেন খসরু তালুকদার, হাজী ফাউন্ডেশনের সভাপতি হাজী মো. আব্দুর রাজ্জাক ও শিক্ষক শাহজাহান আলী।

অপরদিকে, পৌরসভা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে পৌর কাউন্সিলর শাহরিয়ার আলম ইদু বলেন, একেএম শফিকুল ইসলাম জুলহাস একজন ভূমিদস্যু, ঋণ খেলাপি ও রাজাকারপুত্র। তার ভূমিদস্যুতায় কাচারীপাড়া, সর্দারপাড়া ও মুসলিমাবাদের জমি মালিকরা অতিষ্ঠ।
সর্দারপাড়ায় শিক্ষক শাজাহান আলী ও রুপমের মধ্যে জমির সীমানায় প্রাচীর নির্মাণ নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। শাহজাহান রাতের আঁধারে প্রাচীর নির্মাণ করেন। এ ঘটনা মীমাংসা করতে পৌর মেয়রের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গেলে ভূমিদস্যু জুলহাসের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার সঙ্গী সাথীদের মারধর করে। আমার গাড়িও ভাঙচুর করে। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

জামালপুর সদর থানার ওসি রেজাউল ইসলাম খান এ বিষয়ে জানান, চেম্বার অব কর্মাসের পরিচালক একেএম শফিকুল ইসলাম জুলহাসের ম্যানেজার মাহমুদুর রহমান লাবু বাদী হয়ে কাউন্সিলর শাহরিয়ার আলম ইদুকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।

অপরদিকে, কাউন্সিলরের বন্ধু আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে চেম্বার অব কর্মাসের পরিচালক একেএম শফিকুল ইসলামের জুলহাস, তার ছেলে একেএম আবু সাইদ জিমি ও ম্যানেজার মাহমুদুর রহমান লাবুকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। উভয়পক্ষের মামলার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সান নিউজ/এসজে/কেটি

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

উত্তরায় প্রাইভেটকারে অপহরণ; ভিডিও ভাইরালের পর গ্রেপ্তার ২

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনায় অপহরণে ব্যবহৃত একটি প্রাইভে...

আমাকে চেয়েছিলো যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী বানাতে: ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত সরকারের সময় তিনবার...

ভালুকায় সৌন্দর্য বাড়াতে ইউএনও’র ‘নিজ খরচে’ সবুজ বিপ্লব

ভালুকা উপজেলার পরিবেশ সংরক্ষণ ও নগর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নি...

কালীগঞ্জে ফিল্মিস্টাইলে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জে...

সড়কহীন ৩৪ কোটি টাকার সেতু

সেতু আছে কিন্তু সংযোগ সড়ক করা হয়নি এমন সেতু ফেনীতে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা