রাজধানী ঢাকার মিরপুরের পল্লবী ডি ব্লক ঈদগাহ মাঠে দেয়াল নির্মাণের প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও মাঠ ব্যবস্থাপনা কমিটির মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা চলছে। মাঠের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এ বিষয়টি এখন সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।
স্থানীয় ১০ জন বাসিন্দা ও দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের বেশিরভাগই মাঠকে উন্মুক্ত রাখার পক্ষে। তাদের মত—উন্মুক্ত মাঠ এলাকায় সবার জন্য খেলাধুলা ও বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি করে এবং যুবসমাজকে ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত করে।
চাঁদা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, কেউ তাদের কাছ থেকে চাঁদা নেয় না; ৫ আগস্টের পর থেকে মাঠে কোনো চাঁদা তোলা হয়নি।
অন্যদিকে, মাঠ কমিটির কিছু সদস্য মাঠের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে সীমিত আকারে দেয়াল নির্মাণের পক্ষে মত দিয়েছেন। কমিটির নেতা সাজ্জাদ হোসেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আকিল আহমেদ জানান—ঢাকা জেলা প্রশাসন মাঠের জন্য কিছু বরাদ্দ দিয়েছে, এবং সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী উন্নয়ন হলে মাঠ আরও সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ হবে।
মাঠে দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মাঠ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আকিল আহমেদ তা স্পষ্টভাবে অস্বীকার করে বলেন, “আমি এবং আমাদের কমিটির কেউ এসবের সঙ্গে জড়িত নই। ৫ আগস্টের পর মাঠে কেউ চাঁদাবাজি করেনি। যদি আমি বা আমাদের কমিটির কেউ এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকি তা কেউ প্রমাণ করতে পারলে আমরা যে কোনো শাস্তি মেনে নেব। আমাদের কাউন্সিলরকে জড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।”
কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠ উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে মাঠকে আরও আধুনিক ও ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হবে।
তবে দেয়াল নির্মাণ হলে দোকান বসানো কিংবা খেলাধুলার সুযোগ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে স্থানীয়দের উদ্বেগও গুরুত্ব পাচ্ছে। তারা চান—মাঠটি যেন সব বয়সী মানুষের জন্য উন্মুক্ত ও সহজলভ্য থাকে।
ডি ব্লক ঈদগাহ মাঠের ভবিষ্যৎ এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরবর্তী সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট—এলাকাবাসী এবং মাঠ কমিটি উভয় পক্ষই মাঠের উন্নয়নের পক্ষে। তাদের প্রত্যাশা—মাঠটি যেন এলাকার মানুষের জন্য একটি প্রাণবন্ত মিলনস্থল হয়ে থাকে।
সাননিউজ/আরপি