আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের পর্যটকদের কেউ বেঁচে নেই।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি
টাইটান ডুবোযানে যাওয়া পর্যটকদের মধ্যে ছিলেন ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান (১৯)। অন্যরা হলেন, ওশানগেটের ৬১ বছর বয়সি সিইও স্টকটন রাশ, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং (৫৮) এবং তাদের সঙ্গে ছিলেন ফরাসি নৌবাহিনীর সাবেক ডুবুরি ও বিখ্যাত পর্যটক পল-হেনরি নারজিওলেট (৭৭)।
হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে জানা গেছে, টাইটান দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশ্যে এসেছে যে, শাহজাদা এর আগেও একটি ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে সেই দুর্ঘটনায় পাকিস্তানি ব্যবসায়ীর সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ক্রিস্টিন দাউদ।
স্বামী ও সন্তান হারানো ক্রিস্টিন দাউদ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, সেই দুর্ঘটনা সব কিছু বদলে দিয়েছে। আমি এখন যে পথে আছি, সেই পথে নিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।
আরও পড়ুন: চালু হচ্ছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র
তিনি বলেন, আমি কেন এবং কীভাবে একজন মনোবিজ্ঞানী ও প্রশিক্ষক হয়ে উঠেছি, তা অনেকেই জানেন না। এ ঘটনা অবশ্যই ব্যক্তিগত, অস্বস্তিকর এবং অস্বাভাবিক এক ঘটনা কিন্তু আমি টানেলের শেষে আলো দেখতে পাচ্ছিলাম সেদিন।
ক্রিস্টিন জানান, সেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, তারা নিরাপদে অবতরণ করলে তিনি আর কখনো সিগারেট স্পর্শ করবেন না।
তিনি বলেন, তখন অন্ধকার হয়ে এসেছিল। আমাদের চারপাশটায় যেন ঝড় উঠেছিল, আর মেঘ জমছিল। কেবিনে এক অদ্ভুত ধরনের অন্ধকার নেমে আসে। ওই ঘটনা আজও তাড়া করে বেড়ায় আমাদের।
আরও পড়ুন: শিক্ষায় আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব দরকার
তিনি আরও বলেন, সেই সময় আমরা একবার বামদিকে একবার ডানদিকে হেলে যাচ্ছিলাম। আমার মাথা জানালায় ধাক্কা খাচ্ছিল। একসময় ক্যাপ্টেন আমাদের বলেন, তিনি ভিন্ন কোণ থেকে অবতরণের চেষ্টা করছেন। হঠাৎ ইঞ্জিন গর্জে উঠল এবং আমরা আবার উড়তে থাকলাম।
২০১৯ সালে সেই যাত্রায় রক্ষা হয়েছিল ঠিকই কিন্তু টাইটান দুর্ঘটনায় শেষ রক্ষা হলো না শাহজাদার। স্বামীর সঙ্গে ছেলেকেও হারিয়েছেন ক্রিস্টিন দাউদ।
সান নিউজ/এনকে