আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গুয়াতেমালায় ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এখনো আরও ১২ জন নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন : আজারবাইজানে গেলেন এরদোয়ান
দেশটির ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেশন ফর ডিজেস্টার রিডাকশন এজেন্সি (কনরেড) জানায়, সোমবার শুরুর দিকে নারাঞ্জো নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় একটি সেতুর নিচে থাকা অন্তত ছয়টি বাড়ি ভেসে গেছে।
অনুসন্ধান কুকুর এবং উদ্ধারকারী দলগুলো বন্যার পানিতে মারা যাওয়া ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে যার বয়স ৫ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত ১২ জনের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে এদের মধ্যে ৮ জনই শিশু।
আরও পড়ুন : মিয়ানমারে হামলায় ২৫ যোদ্ধা নিহত
ইসাউ গোঞ্জালেজ নামের এক বাসিন্দা জানান, নদীর পানিতে বাড়ি-ঘর ভেসে গেছে। জিনিসপত্র ভেসে গেছে এবং মানুষজন নিখোঁজ হয়েছে। বৃষ্টির মৌসুমে গুয়াতেমালায় ভূমিধসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে মে মাস থেকে নভেম্বরে এই ঝুঁকি বেশি থাকে।
মারভিন কাবরেরা নামের আরও এক বাসিন্দা বলেন, আমরা এখানে বসবাসের ঝুঁকি সম্পর্কে জানি। কিন্তু প্রয়োজনের কারণেই আমাদের এখানে থাকতে হচ্ছে। তিনি যেখানে থাকেন সেখানে ক্রমেই বন্যার পানি বাড়ছে।
আরও পড়ুন : সহিংসতা তালিকায় বাংলাদেশ ২২তম
২৭ বছর বয়সী আইরিস লোপেজ বলেন, সোমবারের এই বিপর্যয়ের পর তিনি আশা করছেন যে, সরকার তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৯ জন ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও প্রায় ২১ লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের মতো বাড়ি-ঘর বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া চারটি রাস্তা এবং নয়টি ব্রিজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সান নিউজ/এমআর