অপরাধ

দীর্ঘ ১৫ বছরেও বিচার পায়নি কিবরিয়ার পরিবার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ১৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এখনও শেষ হয়নি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার।

হত্যাকাণ্ডের ৯ বছর পর ২০১৪ সালে বিচার শুরু হলেও তদন্তের মারপ্যাচ আর স্বাক্ষীদের অনুপস্থিতির কারণে বিলম্বিত হচ্ছে এর কার্যক্রম।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলায় কিবরিয়াসহ ৫ জন নিহত হন। ওই দিন বৈদ্যের বাজারে এক জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলার শিকার হন তিনি। এতে সাবেক অর্থমন্ত্রীসহ তার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী নিহত হন। এঘটনায় আহত হন আরও শতাধিক নেতাকর্মী।

এ ঘটনার পরদিন ২৮ জানুয়ারি হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমান সাধারণ সম্পাদক) অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান এমপি বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা মামলাটির তদন্ত করেছে।

সিআইডি’র তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সি আতিকুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২০ মার্চ ১ম অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে তৎকালীন জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল কাইয়ুম, বিএনপির কর্মী ও ব্যাংক কর্মকর্তা আয়াত আলী, কাজল মিয়া, তাজুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন জালাল, জমির আলী, জয়নাল আবেদীন মোমিন ও ছাত্রদল কর্মী মহিবুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক সেলিম আহমেদ, জিয়া স্মৃতি গবেষণা পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আব্দুল কাইয়ুমের স্বীকারোক্তির জন্য তাকে ৪৭ দিন রিমান্ডে নেয়া হয়।

এর ৯ বছরের বেশি সময় পর ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের বিচার কাজ শুরু হয়। এসময় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জের মেয়র জি কে গউছসহ ৩২ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে দু’টি মামলারই চার্জশীট দেন তদন্ত কর্মকর্তা।

কিন্তু নানান আইনী জটিলতায় বিলম্বিত হচ্ছে হত্যাকাণ্ডের বিচার কাজ। বর্তমানে এই হত্যা মামলাটি সিলেটের দ্রুত বিচার আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ মামলায় ইতোমধ্যে ১৭১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

নিহতের স্বজন আর স্থানীয়দের দাবি, বর্তমান সরকারের আমলে কিবরিয়া হত্যার বিচার শেষ না হলে আর কখনো এই বিচার হবে না, যা দেশের জন্য হবে এক বড় কলঙ্ক।

বৈদ্যের বাজার ট্র্যাজেডিতে অনেকই এখনো পঙ্গু অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। সেই ভয়াল স্মৃতি এখনো তাদের তাড়িয়ে বেড়ায়। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এমপি বলেন, আমি বেঁচে থাকার আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করে সুস্থ হলেও এখনো আমার গায়ে গ্রেনেডের শত শত স্প্লিন্টার। পায়ে স্টিল লাগানো।
এ উপলক্ষে ঢাকা ও হবিগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।

এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শোক র‌্যালি, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা।

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে

সান নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী পহেলা...

মাধুরীকে ‘বেশ্যা’ বলে অসম্মান!

বিনোদন ডেস্ক : বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতকে বেশ্যা বলায়...

সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ ওমরাহ যাত্রীর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরবের আসি...

অভিবাসন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৩৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মেক্সিকোর সীমান্ত শহর সিউদাদ জুয়ারেজে দ...

নওগাঁয় নারীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মি...

ব্রহ্মপুত্র নদে অষ্টমীর স্নানে পূণ্যার্থীদের ঢল

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ব্রহ...

বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় বিষখালী...

নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ১৮

সান নিউজ ডেস্ক : সৌদি আরবের আসির প্রদেশে ওমরাহ করতে যাওয়ার স...

পানিতে ডুবে প্রাণ গেল মামা-ভাগনের

জেলা প্রতিবেদেক : পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় খালের পানিতে ডুবে ম...

বহিষ্কারের দাবিতে সড়ক অবরোধ

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা