নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ (চসিক) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনগুলো পেছানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।
১৬ মার্চ সোমবার বিকেলে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক বৈঠকে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেন।
এসময় নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার কারণ দেখিয়ে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না। আল্লাহর রহমতে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দূর হয়ে যাবে।
আগামী ২১শে মার্চ ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩, বাগেরগাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
এছাড়া ২৯শে মার্চ অনুষ্ঠিত হবে চসিক নির্বাচন এবং বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচন।
করোনা আতঙ্কের মধ্যেও নির্বাচনগুলোর প্রচার-প্রচারণা প্রসঙ্গে কেএম নূরুল হুদা বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা অত্যন্ত শঙ্কিত আছি। আমাদের আশঙ্কা আছে, দূশ্চিন্তা ও আছে।
যেহেতু নির্বাচনে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি আছে, সুতরাং ২১ মার্চের নির্বাচন আমরা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না। এর মধ্যেই আমাদের কাজ করে যেতে হবে। তবে যারা নির্বাচনে কাজ করবেন তারা সতর্ক অবস্থায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা যদি মেনে চলেন, তা হলে নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটা জাতি, যে ন্যাচারাল টলারেন্স, হাজার বছরের অভ্যাস প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকা জতি। জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, মহামারি, কলেরা, বসন্ত, ম্যালেরিয়া, আবার মানবসৃষ্ট দুর্যোগ, যেমন রানা প্লাজার ধসের ঘটনা, অগ্নিকাণ্ড, হলি আর্টিজানের ঘটনা, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব দুর্যোগ মোকাবিলা করেছে।
তিনি আরো বলেন. পৃথিবীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আমরা একটা মডেল। যে কোনো ক্রাইসিসের সময় লোকজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসে। পৃথিবীর অনেক দেশেই এই স্বতঃস্ফূর্ততা নেই। এই শক্তি আমাদের আছে। এই শক্তিকে সামনে রেখেই বলবো যে, দুর্যোগ যাই আসুক মোকাবিলা করা যাবে। করোনা ভাইরাসও মোকাবিলা করা যাবে। আমরা নির্বাচন পেছাতে চাই না।
সান নিউজ/ সালি