নিজস্ব প্রতিবেদক:
সৌদি নিষেধাজ্ঞার পূর্বে ওমরাহ করতে বাংলাদেশিদের যারা ভিসা ও অন্যান্য সার্ভিস চার্জ দিয়েছিলেন তাদের সেইসব ফি’র টাকা ফেরত দেবে বলে জানিয়েছে সৌদি সরকার। ১ মার্চ রবিবার সৌদির ধর্ম মন্ত্রণালয় ভিসা ফি ফেরত দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি বিদেশিদের সৌদিতে ওমরাহ পালনে স্থগিতাদেশ দেয় দেশটি। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় জানায়, সৌদি আরবে করোনা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও আগাম প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের পরামর্শে ওমরাহ ও ট্যুরিস্ট ভিসা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর ফলে প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি ভিসা করেও ওমরা করতে যেতে পারেননি। এ নিয়ে তাদের ভিসা ফিসহ অন্যান্য খরচ নিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েন সবাই। সমুদয় টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছিল।
ভিসা ফি ফেরত দেওয়া সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে সৌদির ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভিসা স্থগিত হওয়া ওমরাহ যাত্রীদের ফি এবং অন্যান্য বিষয়ে নেওয়া সার্ভিস চার্জ ফেরত দেওয়া হবে। এজেন্সির মাধ্যমে যাত্রীদের যোগাযোগ করতেও বলা হয়েছে। এছাড়া mohcc@haj.gov.sa এই ইমেইলে যোগাযোগ করা যাবে।
ওমরাহ পালনকারীরা ভিসা ফি ফেরত পেলে আর্থিক ক্ষতি কিছুটা কমবে বলে মনে করেন হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
তিনি বলেন, সৌদি আরব কখনোই ভিসা ফি বাবদ টাকা ফেরত দেয় না। আমরা আনঅফিসিয়ালি জানতে পেরেছি সৌদি সরকার ভিসা ফি ফেরত দেবে। এখন দেখার বিষয়, কোন প্রক্রিয়ায় কীভাবে ফেরত দেয়।
হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) জানিয়েছে, ওমরাহ ভিসার শর্ত অনুসারে আগেই বিমান, হোটেলসহ অন্যান্য প্রস্তুতি বাবদ অর্থ খরচ করে ফেলেছে এজেন্সিগুলো। সৌদি সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, ভিসা করার আগেই দেশটিতে থাকার হোটেলসহ বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয়। ফলে সৌদি আরবে যেতে না পারায় হোটেল, বিমান ও গাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য খরচের জন্য আর্থিক ক্ষতি হবে এজেন্সিগুলোর। ১০ হাজার ওমরাহ যাত্রীর ভিসার জন্য ২০ কোটিরও বেশি টাকা খরচ হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার যাত্রীর বিমানের টিকিটও কাটা হয়েছে। এয়ারলাইন্সগুলো যাত্রা বাতিল করলেও টিকিটের টাকা ফেরত দেয় না। ভিসা করার আগে সৌদিতে থাকার হোটেলের জন্য অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েছে এজেন্সিগুলো।
সান নিউজ/সালি
Newsletter
Subscribe to our newsletter and stay updated.