জাতীয়

একুশের ইতিহাস ও বাংলা

প্রীতিলতা স্বদেশ:

প্রাণের বাংলাকে ঠিক প্রাণ দেয়া গেলনা দীর্ঘ এতো বছরেও। বিশেষত সার্বজনীনতা পেল না বাংলা। কেন বা কী কারণে এতোদিনেও তা সম্ভব হল না, তার রয়েছে বহুবিধ কারণ।

তার আগে এর ইতিহাসটা জাতি ঠিক মনে রেখেছে কী না, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। ১৯৪৭ সালে তমদ্দুন মজলিস নামের ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কি হবে, বাংলা নাকি উর্দু’, এই নামের একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে সর্বপ্রথম বাংলাকে পাকিস্তানের একটি রাষ্ট্রভাষা হিসাবে ঘোষণা করার দাবি করেন। সেই সময়ে সরকারি কাজকর্ম ছাড়াও সব ডাকটিকেট, পোষ্টকার্ড, ট্রেন টিকেটে কেবলমাত্র উর্দু এবং ইংরেজি লেখা থাকতো। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাংলা সংস্কৃতিকে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি এবং বাংলা ভাষাকে হিন্দুয়ানি ভাষা হিসাবে অভিহিত করে। সংগঠনের সে সময়কার সাধারণ সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক আবুল কাশেম, ফজলুল হক হলে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কি হওয়া উচিত সে ব্যাপারে একটি সভা করেন।

সেখানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতে পাকিস্তান সরকারের কাছে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাকিস্তানের সে সময়ের শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমানের উদ্যোগে পশ্চিম পাকিস্তানে আয়োজিত ‘পাকিস্তান এডুকেশনাল কনফারেন্সে’ পূর্ব - পাকিস্তান থেকে যাওয়া প্রতিনিধিরা উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সংসদের সভায় বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপিত হয়। পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বাংলাকে ঘোষণা দেওয়ার জন্য শতশত নাগরিকের স্বাক্ষর সংবলিত স্মারকপত্র প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিনের কাছে পেশ করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশ এবং মিছিলও হয়। ডিসেম্বরের একটি সমাবেশ থেকে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপিত হয়। ডিসেম্বরের শেষের দিকে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ এবং তমদ্দুন মজলিশের আহবায়ক অধ্যাপক নুরুল হক ভুইয়া এর আহবায়ক হন। এরপরের বছরই পূর্ব পাকিস্তান স্টুডেন্টস লিগের জন্ম। এর প্রথম সভাপতির দায়িত্ব পান কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৮এ কুমিল্লা থেকে নির্বাচিত বাঙালি গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পার্লামেন্টে প্রথমবারের মত বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে গ্রহণ করার একটি বিল আনেন। মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীসহ বাঙালি পার্লামেন্ট সদস্যদের একাংশ এর পক্ষে সমর্থন দিলেও মুসলিম লীগ সমর্থিত এমপিরা বিপক্ষে অবস্থান নেন। পূর্ব পাকিস্তান থেকে নির্বাচিত সদস্য খাজা নাজিমুদ্দিন ছিলেন এই বিরোধিতার শীর্ষে।

অথচ এই খাজা নাজিমুদ্দিনকে এখনও বাংলাদেশ বহণ করছে জাতীয় তিন নেতার কথিত একজন হিসেবে! ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত দমে না গিয়ে তিনবার বিভিন্ন সংশোধনী সহ বিলটি আবারও উত্থাপন করেন কিন্তু প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যাত হয়। এভাবে নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্যেই ঐ বছরেরই ২১শে মার্চ সেসময়ের রেসকোর্স ময়দানে (এখনকার সোহরাওয়াদী উদ্যান) আয়োজিত সমাবেশে জিন্নাহ স্পষ্ট ঘোষণা করেন ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা’। সমাবেশস্থলে উপস্থিত ছাত্র নেতৃবৃন্দ ও জনতার একাংশ সাথে সাথে তার প্রতিবাদ করে ওঠে। জিন্নাহর ঢাকা ত্যাগের পর রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলন আরো বেগবান হয়ে ওঠে।

এরিমধ্যে নানা ঘটন-অঘটনের মথ্য দিয়ে আসে ১৯৫২ সাল। সেসময় ঢাকা সফররত পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর জেনারেল খাজা নাজিমুদ্দিন পল্টন ময়দানের সমাবেশে ঘোষণা করেন কেবল মাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। সাথে সাথে সমাবেশস্থলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। শ্লোগান ওঠে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’। খাজা নাজিমুদ্দিনের বক্তব্য ভাষা আন্দোলনকে নতুন মাত্রা দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের ডাকে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালিত হয়। এরপর পাকিস্তান সরকার ২১শে ফেব্রুয়ারি ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে এবং সকল সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ১৪৪ ধারা জারির পরিপ্রেক্ষিতে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে আবুল হাশিমের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার একটি বড় অংশ ১৪৪ ধারা ভঙ্গের ব্যাপারে মত দিলেও অনেকেই এতে সহিংসতার আশঙ্কায় বিপক্ষে মত দেন। তবে একুশে ফেব্রুয়ারি সকাল নটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেশিয়াম মাঠের পাশে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের গেটের পাশে ছাত্র-ছাত্রীদের জমায়েত শুরু হয়। ১১ টা নাগাদ সমাবেশ শুরু হয় । সমাবেশে ১৪৪ ধারা ভংগের ব্যাপারে ছাত্র নেতৃবৃন্দ এবং উপস্থিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়। আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক ছাত্রদের ১৪৪ ধারা না ভাঙ্গার ব্যাপারে যুক্তি দেন। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা ভংগের পক্ষে মত দিলেও সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হন।

এ অবস্থায় উপস্থিত সাধারণ ছাত্ররা স্বত:স্ফূর্তভাবে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত নেয় এবং মিছিল নিয়ে পূর্ব বাংলা আইন পরিষদের (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের অন্তর্গত) দিকে যাবার উদ্যোগ নেয়। আর তখনই পুলিশ লাঠিচার্জ এবং গুলি বর্ষণ শুরু করে। ঘটনাস্থলেই আবুল বরকত (ঢাবি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মাষ্টার্সের ছাত্র), রফিকউদ্দিন আহমদ, এবং আব্দুল জব্বার নামের তিন তরুণ শহীদ হন । পরে হাসপাতালে আব্দুস সালাম মারা যান। অলিউল্লাহ নামে ৯ বছরের একটি শিশুও পুলিশের গুলিতে মারা যায়। গুলিবর্ষনের খবর আইন পরিষদে পৌঁছালে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নেতৃত্বে পূর্ব বাংলার ছয়জন সদস্য আইন পরিষদ সভা মুলতবি করে ঢাকা মেডিকেলে আহত ছাত্রদের দেখতে যাবার জন্য মূখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিনকে অনুরোধ করেন। তবে তা না করার প্রতিবাদে পূর্ব বাংলার সদস্যরা পরিষদ থেকে ওয়াক আউট করেন। উন্মাতাল পরিস্থিতিতে উপায়ন্তর না দেখে নুরুল আমিন ২২শে ফেব্রুয়ারি তড়িঘড়ি করে আইন পরিষদে বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব আনেন এবং প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়। তারপরও ২১শে ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস ঘোষণা থেকে শুরু করে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন বা শহীদ মিনার নির্মানেও আসে অনেক বাধা।

এসব বাধা পেরিয়ে যে বাংলা প্রতিষ্ঠিত হলো সেই বাংলা এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা। ২০১০ সালে জাতিসংঘ যার স্বীকৃতি দেয়। অথচ এতো রক্তের বিনিময়ে সেই ভাষা সেই ভাষাকে এখন অনেক বাংলাভাষী ব্যবহারই করতে জানেন না। ‘বাংলা যেন কেমন-কেমন, খুউব দুর্বল প্যানপ্যানে, শুনলে বেশি গা জ্ব’লে যায়, একঘেয়ে আর ঘ্যানঘ্যানে। কীসের গরব? কীসের আশা? আর চলে না বাংলা ভাষা, কবে যেন হয় ‘বেঙ্গলি ডে’, ফেব্রুয়ারি মাসে না?’ ভবানীপ্রসাদ মজুমদার তার একটি লেখায় অনেকটা কষ্ট নিয়েই এমনটা লিখেছেন। ইদানীংকালের অবস্থা দেখে এই লেখার মাহাত্ম খুঁজে পাওয়াও খুব একটা কঠিন নয়। পৃথিবীর কোন দেশ ভাষার জন্য প্রাণ না দিলেও তারা কেন যেন নিজেদের ভাষাকে তুলে রাখছে সবার উপরে। ভাষার গর্ব বলি আর গর্বের ভাষা বলি, তারা কেন যেন সমৃদ্ধ করেছে নিজের মুখের কথাকে। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ভাষা হয়েও ইংরেজির দাপট বিশ্বজোড়া। আর যাই জানা থাকুক আর না থাকুক, ইংরেজিটা জানতেই হয়। হিন্দির কথা বলা হলে সেটারও এখন বেশ ক্ষমতা। যদিও ভারতেই হিন্দি ভাষাভাষির সংখ্যা বেশি নয়, সেদেশে জনসংখ্যার বিচারে বেশি কথা হয় তামিল ভাষায়। তারপরও হিন্দির প্রভাব বিশ্বজোড়া, হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রের প্রভাব বলার অপেক্ষা রাখেনা। চীনের ভাষা? তারাতো ক’দিন আগেও ইংরেজিও ঠিক করে বলতো না।

কিন্ত বাংলাদেশ যে ভাষার জন্য প্রাণ দিলো, সেই ভাষাকে সমুন্নত করা গেল না কেন? অথচ পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম ভাষা বাংলা। তাছাড়া বাংলাটা সঠিকভাবে বা নির্ভূলভাবে এই ২৬ কোটি মানুষ বলতে বা লিখতে পারেনা। হয় আঞ্চলিকতা ভর করে আছে না হয় বানানরীতির ঝামেলা। ঝামেলাই মনে করেন অনেকে। এমনকি সরকারি দপ্তর থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সবখানেই ভুলের ছড়াছড়ি। এমনকি গণমাধ্যম, সেখানেও ভুলের এক রকমের বেসাতিই চলে। অথচ এসব জায়গা থেকেই শুদ্ধটুকু জানবে মানুষ।

এখানে ঢাকার তেজগাঁও এলাকার পাশাপাশি অবস্থিত দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ দেয়া যাক। কয়েকজ গজের মধ্যে অবস্থিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটি তাদের প্রমাণ আকারের দৃশ্যমান দুটি পরিচিতি ফলকে লেখা হয়েছে ‘পলিটেকিনিক ইনষ্টিটিউট’ আর পাশে আছে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস এন্ড সিরামিকস’। এখানে দুটি ইনস্টিটিউট বানান দুইভাবে লেখা। এখন প্রশ্ন মানুষ তাহলে কোনটা দেখে শিখবে? সবাই তো আর বাংলা অভিধান সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে পারবে না। এছাড়া পরিবহণ বানাননি ঠিক করেনি তিনটি মন্ত্রণালয়। নৌ-পরিবহন, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং বেসরামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ‘পরিবহণ’ বানানটি ‘পরিবহন’ লেখে। এখন এসব মন্ত্রণালয়ের খবরাখবর গণমাধ্যমের কেউ পরিবহন ও কেই পরিবহণ বানানে লেখায় সাধারণের মধ্যে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এগুলো ছোট ছোট কিছু উদাহরণ মাত্র। এরকম ভুরি ভুরি বানান অসঙ্গতি আছে চারিদিকে। বিশেষত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর সরকারি বেসরকারি প্রচারপত্র বা ফলকে দৃশ্যমান এসব অসঙ্গতি।

সর্বস্তরে বাংলার ব্যাবহার নিশ্চিত করার নির্দেশনা আছে উচ্চ আদালতেরও। এমনকি বাংলায় রায় লেখারও কথা। কিন্ত হলো কী এখনও? হয়নি। কবে হবে এর উত্তরও নেই কারো কাছে। উত্তর একটাই পাওয়া যাবে চেষ্টা চলছে। এই চেষ্টা আর কতদিন চলবে? নতুন প্রজন্মের মধ্যে যে ভুল বানানের বা উচ্চারণের তথ্য উপাত্ত ঢুকে পড়ছে তা মুক্ত করার উদ্যোগ কই? শেষ কথা বাংলা আসলে প্যানপ্যানে বা ঘ্যানঘ্যানে ভাষা নয়। বাংলার মতো মধুর ভাষা পৃথিবীর কোথাও নেই। বাংলা ভাষার মাধ্যমে যে আবেগের বহিঃপ্রকাশ করা যায়, সে প্রকাশ কী আর কোন ভাষায় করা যায়? বোধকরি না। তাই বাংলার সার্বজনীতা জরুরি, এজন্য যা যা উদ্যোগ নেয়ার তা তা সংশ্লিষ্টরা নেবেন এটাই আশা।

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

খাগড়াছড়িতে গৃহকর্মীকে জিম্মির অভিযোগ 

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ

আড়িয়ল ইউপিতে উপ-নির্বাচন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

কার্বণ মিল ও সীসা কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী প্রতিনিধি:

কার্বণ মিল ও সীসা কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী প্রতিনিধি:

কক্সবাজারে দুই জেলের লাশ উদ্ধার 

জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার চ...

আড়িয়ল ইউপিতে উপ-নির্বাচন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়িতে গৃহকর্মীকে জিম্মির অভিযোগ 

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা