নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন মনে করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মোবাইল ইন্টারনেটের প্যাকেজের ক্ষেত্রে নতুন যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে, তা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা বিল সংসদে উত্থাপন
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ, শ্রমজীবী, বেকার, শিক্ষার্থী, নিম্নআয়ের মানুষজন মোবাইল ইন্টারনেটের বড় গ্রাহক। এ সকল গ্রাহকের চাহিদাও ভিন্ন ভিন্ন। বিশেষ করে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্যাকেজ, যা স্বল্প মূল্যে গ্রাহকরা কিনতে পারেন, এই শ্রেণির গ্রাহক ৬০-৭০%।
তিনি জানান, বিটিআরসি যদি এমন সিদ্ধান্ত নিতো যে, ৩ দিনের জন্য বর্তমান যে প্যাকেজ বা ক্ষুদ্র প্যাকেজের যে মূল্য, ঠিক সমপরিমাণ মূল্য দিয়েই ৭ দিন বা ১৫ দিনের প্যাকেজ গ্রাহক কিনতে পারবেন, সেক্ষেত্রে আমরা বিটিআরসিকে সাধুবাদ জানাতাম।
আরও পড়ুন: মোবাইলের স্ক্রিন কালো হলে করণীয়
স্বল্প আয়ের মানুষ, শিক্ষার্থী, বেকার তরুণ ও শ্রমজীবীদের পক্ষে ২০০ বা ৩০০ টাকা দিয়ে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করা প্রায় অসম্ভব। আজ প্রধানমন্ত্রী ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করছেন, তা কেবল এসকল গ্রাহকের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে।
সরকার আগামীতে যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে যাচ্ছে, দেশের প্রত্যেকটি মানুষকে সেখানে সরকার ইন্টারনেটের আওতায় আনতে চায়। কিন্তু, বিটিআরসি উল্টো পথে হাঁটছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, কমিশন গ্রাহকের চাহিদা ও পছন্দের উপর হস্তক্ষেপ করতে পারে না। হয়তো এ সিদ্ধান্তের ফলে মোবাইল অপারেটর লাভবান হবে। কারণ, ইন্টারনেটের খরচ অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন: টুইটারেও ভিডিও চ্যাট
বিটিআরসি প্যাকেজের সংখ্যা যদি কমাতে চায়, তাহলে ৪০টি কেন? ব্রডব্যান্ডের মতো ‘এক দেশ এক রেট’ নয় কেন? ৪ টি অপারেটরের প্যাকেজের মূল্য এক নয় কেন? অব্যবহৃত ডাটা গ্রাহক ফেরত পায় না কেন?
প্রকৃতপক্ষে, কমিশন এসব গ্রাহকের, বিশেষ করে সাধারণ শ্রেণির গ্রাহকদের কথা আমলে নেয় নি। আমরা মনে করি গ্রাহকের চাহিদা ও পছন্দের কথা এবং সামর্থ্য বিবেচনা করে কমিশন এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবে।
সান নিউজ/এএ